স্পোর্টস ডেস্ক:
অলিম্পিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার সবশেষ সোনাটি এসেছিল ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পকে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার অলিম্পিক ফুটবলেও রাজত্ব ফেরাতে চায় আলবিসেলেস্তেরা। তাই প্যারিস অলিম্পিক সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো। এরই মধ্যে দল বাছাইয়ের কাজও শুরু করে দিয়েছেন আর্জন্টিনার সাবেক এই তারকা।
আগামী জানুয়ারিতে ভনেজুয়েলায় শুরু হবে প্রাক-অলিম্পিক টুর্নামেন্ট। লাতিন অঞ্চলের নয় দলের এই টুর্নামেন্ট থেকে দুটি দল পাবে প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট। অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার গৌরব ফেরাতে আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলে দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে চান দলটির কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো।
অলিম্পিকে সাধারণত অনূর্ধ্ব ২৩ দল খেলে থাকে। তবে স্কোয়াডে চাইলেই তিনজন ২৩ এর অধিক বয়সী খেলোয়াড় রাখা যায়। সেই তিনজনের দুইজন হিসেবে মেসি ও ডি মারিয়াকে দলে নিতে চান তাদের এই সাবেক সতীর্থ। অলিম্পিকের প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কাছাকাছি রেখে অলিম্পিকের জন্য রডারে থাকা খেলোয়াড়দের অনুশীলন করিয়েছেন মাশচেরানো। সে সময় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ব্যস্ততার ফাঁকেই মেসিকে বলিভিয়ার বিপক্ষে অনূর্ধ্ব ২৩ আর্জেন্টিনা দলের খেলা উপভোগ করতে দেখা গেছে।
অলিম্পিক দল নিয়ে বলতে গিয়ে সম্প্রতি মাশচেরানো মেসি ও ডি মারিয়াকে দলে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যেকোনো ভাবে এই দুজনকে দলে পেতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘দুজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে দলে পাওয়া গর্বের বিষয়। কিছু খেলোয়াড় এমন যারা সবকিছু নির্ধারণ করে দিতে পারে। দলে মেসি ও ডি মারিয়াকে পাওয়া সম্মানের ব্যাপার হবে।’
অলিম্পিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার সবশেষ সোনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে মেসি-ডি মারিয়া-মাশচেরানোর নাম। বেইজিং অলিম্পিকে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে সোনা জয়ের ম্যাচে মাঠে ছিলেন এই তিনজনই। সেই ফাইনালে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ডি মারিয়াই। দুই মহাতারকার শেষ বেলায় সেই স্মৃতি আরেকবার ফিরিয়ে আনতে চান মাশচেরানো।
তবে মেসি-ডি মারিয়াকে পাওয়া তার জন্য এতোটাও সহজ হবে না। ক্লাবের ফুটবলের ব্যস্ততার ফাঁকে তাদের পাওয়া যায় কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
মেসি-ডি মারিয়াকে পাওয়ার পাশাপাশি অলিম্পিক দলের কোচের দায়িত্ব যদি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ লিঅনেল স্ক্যালোনি নিতে চান, তবে তাতেও আপত্তি নেই বার্সেলোনা ও লিভারপুলে খেলা মাশচেরানোর। অলিম্পিকের মূলপর্বের পর দলের দায়িত্ব ছাড়তেও প্রস্তুত তিনি। তিনি বলেন, ‘সে (স্ক্যালোনি) যদি অলিম্পিকে দলের কোচ হতে চায়, তবে সে হতে পারে।’