মোস্তফা কামাল, নড়াইল :
নড়াইলের কালিয়ায় প্রথম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার ২ দিন পর ধর্ষকের পরিচয় মিলেছে। স্কুলছাত্রী সন্দেহ ভাজনদের ছবি দেখে মো.সামিরুল শেখ (২২) নামে একজনকে তার ধর্ষক হিসাবে শনাক্ত করেছে। রোববার সন্ধ্যায় শিশুর মা বাদি হয়ে সামিরুলকে আসামী করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সামিরুল উপজেলার কলামনখালি গ্রামের আহম্মদ শেখের ছেলে। মামলা দায়েরের পর রোববার রাতে র্যাব ৬ এর একটিদল অভিযান চালিয়ে তার গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কালিয়া থানায় সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার সকালে শিশুটির মা তাকে বাড়িতে রেখে কাজে বেরিয়ে যান। অনেক সময় পার হলেও মা ফিরে না আসায় মেয়েটি মাকে খুজতে সকাল ১১ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের রাস্তার কলামনখালি নামক স্থানে গেলে নির্জনে একা পেয়ে তাকে তুলে নিয়ে রাস্তার পাশে বাঁশ বাগানের মধ্যে ফেলে ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঝোপের মধ্যে শিশুটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দিলে প্রথমে তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকালে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করেন। চিকিৎসা শেষে শিশুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও সে ধর্ষকের নাম ঠিকানা বলতে না পারায় সন্দেহ ভাজন কয়েক জনের ছবি দেখানো হলে সে সামিরুলকে সনাক্ত করে। মামলা দায়েরের পর রাতে র্যাব ৬ এর একটি দল কলামনখালি গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
কালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রতনুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃতকে সোমবার দুপুরে নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।