হোম অন্যান্যলিড নিউজ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুকুর ভরাট করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুকুর ভরাট করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 113 ভিউজ

এম এ এরশাদ,খুলনা অফিস :

করোনার প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটির সুযোগ নিয়ে এক যুবলীগ নেতা জোর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুকুর ভরাট করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী ওই নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে ওই সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ করেনি ওই যুবলীগ নেতা। যে কোনো মুহুত্বে ঘটতে পারে অঘটন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শনিবার দুপুরে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস-নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সরদার ইলিয়াজ হোসেন ও প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডল বলেন, কোনো কাগজ পত্র ছাড়াই নিজের জমি দাবী করে গত বছর ১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটির মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শেখ হারদার আলী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টানের ৩টি মেহগুণী গাছ, ৩টি নারিকেল ও ২টি খেঁজুর গাছ, ১ লাখ, ১২ হাজার টাকা মূল্যের গাছ কেঁটে বিক্রি করে দেয়।

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ দশকে বিদ্যালয়ের অর্থ্যায়নে গাছের গাছ গুলো প্রতিষ্ঠানের জায়গায় রোপন করা হয়। ওই ঘটনায় এখনো আদালতে মামলা চলমান। এক বছর গড়াতে না গড়াতেই করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যে আবারও ওই প্রতিষ্ঠানের পুকুর ভরাট করে হায়দার পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে গেলে তিনি (হায়দার) নানা ভাবে হুককি ধামকি দিচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি রক্ষায় অবশেষে থানা পুলিশের আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্টানের পুকুর ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান ও প্রতিষ্টানের গাছ গুলো কেঁটে বিক্রি করে দেয়ার বিষয় শেখ হায়দার আলী নিজেকে স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য দাবী করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্টানের জায়গাটি এক সময় আমার বাবা দান করে ছিলেন। দানের জমি ছাড়াও আমাদের অন্য জমি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে। তাই বাড়তি জমিতে তিনি দোকান ঘার নির্মাণ ও সেই জমির গাছ কাঁটা হয়েছিলো।

ডুমুরিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিল্পব বলেন, এ ঘটনায় গতকাল শনিবার দুপুরে সংশিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী থানায় এসেছিলেন। অভিগের পর হায়দার আলী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং উভায় পক্ষের কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দিবেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন