হোম ফিচার হাসিনা-মোদি বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’

রাজনীতি ডেস্ক:

নয়াদিল্লিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে বাণিজ্য ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানান মোদি।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৈঠকে বসেন প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ নেতা। বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) মোদি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত নয় বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

একঝাঁক বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এ বছর অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান দেশগুলোর জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত সরকার। তাই গোটা বিশ্বের চোখ এখন নয়াদিল্লিতে।

এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শুক্রবার দুপুরে দিল্লির মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। উষ্ণ অভ্যর্থনায় তাকে বরণ করে নেয়ার পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক শীর্ষ পর্যায়ের আলাপচারিতা।

পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন হাসিনা-মোদি। প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এই বৈঠকের দিকেই আগ্রহ ছিল সবার। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত দুই বন্ধুরাষ্ট্রের এমন বৈঠক পেয়েছে কূটনৈতিক অনন্যমাত্রা।

এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে পৌঁছান নয়াদিল্লিতে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই তাকেসহ সফরসঙ্গীদের বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করে নেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোশ। ছিল শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যপরিবেশনা। সেখান থেকে সরাসরি হোটেলে যান প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যে এবারের জি-২০ সম্মেলনে দুটি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে সম্মেলনস্থল দিল্লির প্রগতি ময়দান।

সম্মেলন শুরুর আগে ব্রিফিংয়ে আয়োজক ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, এবারের জি-২০ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য থাকবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দিকে, আর গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠ তুলে ধরা।

সম্মেলন শেষে সদস্যদেশগুলোর যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন