হোম জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা জনগণ কঠোরভাবে দমন করবে: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক:

বিএনপি অতীতেও নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে, এবার তারা এমন কোনো চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে দেয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এত সহজ নয়’ মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি চায় দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়েছে। এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তে তাদের দমন করবে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকবো না।’

নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়াবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল। আমরা আশা করবো এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনাদের কোন নেতা কি বললো, এতে কিছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। বিএনপির বর্জনের পরেও যেভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশ নেবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে’, এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরকেইতো পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিল, সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে। ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। ১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিল, যখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। কারণ বিএনপির সঙ্গে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে, তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র। এ জন্য তারা প্রকৃতপক্ষে চায় না, এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি, কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হবে।’

এ সময় গণমাধ্যম বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, মানুষের এই সাফল্য কাগজের পাতায় আসতে হবে। কাগজের পাতায় যারা হতাশার চিত্র তুলে ধরে সেই নৈরাজ্যবাদীরা রাষ্ট্রের ক্ষতি করে। অবশ্যই সমাজের চিত্র প্রস্ফুটিত হবে, ব্যর্থতার কথাও পত্রিকায় আসবে, সমালোচনা হবে, কিন্তু সাফল্যগাঁথাটাও প্রকাশ করতে হবে, প্রচার করতে হবে।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক বাংলা পত্রিকার সব সদস্য ও পাঠকের জন্য শুভকামনা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি কেক কাটায় অংশ নেন এবং পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার জীবনের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে তার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে পত্রিকাটির প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন