অনলাইন ডেস্ক:
রাজশাহীর চারঘাটে টাকা চুরির অপবাদে বুক সমান মাটিতে পুঁতে ও পানিতে চুবিয়ে নির্যাতনের শিকার মোহন ইসলামের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে এ ঘটনার ১ মাস ২০ দিন পর নাসিমা বেগম বাদী হয়ে চারঘাট থানায় মামলা করেন।
মামলায় স্থানীয় প্রভাবশালী যুবক মুক্তার হোসেন, আব্দুল ওয়াদুদ শুভ, সাব্বির হোসেন, শুভ, ঋত্বিক, জিনারুল, সাকলাইন, লালন ও মিজান সহ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশে মারপিটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চারঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আবজাল হোসেন জানান, ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
গত ৯ জুলাই চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মছু নামে এক যুবককে স্থানীয় মালেকের বাড়ি থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে যায় প্রভাবশালী যুবক মুক্তারসহ কয়েকজন। টাকার দাবিতে নির্যাতন চালালে মছু টাকা চুরির ঘটনায় মোহন ইসলামকে অভিযুক্ত করে। পরে মুক্তার বাহিনী মোহনকে তুলে নিয়ে দিনভর নির্যাতন করে।
ভুক্তভোগী মোহন জানান, সেদিন সকাল সাড়ে আটটায় ধরে নিয়ে গর্ত খুঁড়ে বুক সমান মাটিতে পুঁতে রাখা হয় তাকে। চলে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। দুপুরে সেখান থেকে তুলে একটি কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করে। তারপর বিকেলে হাত-পা বেঁধে মোহনকে ফেলে রাখে বিলের পানিতে। মাঝেমধ্যে পানিতে চুবিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সেসময় মাথা তুলে না রাখলে মরে যেত সে।
ঘটনার মাসখানেক পর মাটিতে পুঁতে রাখা ও পানিতে চুবানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় দায়ের করা হয় মামলা।
ভুক্তভোগী মোহনের মা ও মামলার বাদী নাসিমা খাতুন বলেন, ‘অনেকদিন পরে হলেও মামলা দিতে পেরেছি। আমার চাওয়া দ্রুত তদন্ত শেষে ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করা হোক।’