রাজনীতি ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দেশ-বিদেশে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন দমন-পীড়নে মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, সরকার আর বেশিদিন ক্ষমতায় নেই, তা সরকারের মন্ত্রীদের কথায়ও ফুটে উঠেছে। তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দিয়ে সরকার মনে করেছিল সরকার পতন আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে, পারে নাই। পরে জঙ্গি নাটক করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরানোর চেষ্টা করল, তাতেও ব্যর্থ হয়েছে। কোনো নাটক কাজে আসছে না।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে পহেলা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, সরকার কথায় কথায় ষড়যন্ত্র দেখে। আরে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তো করে আওয়ামী লীগ। এরা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে। এরা গণবিরোধী দল। এদের অবস্থান সবসময় জনগণের বিরুদ্ধে। তাই জনগণকে ভোট থেকে দূরে রাখতেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় না।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তন করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে করেছিলেন বাকশাল। আজ তারই কন্যা একই কায়দায় ভোটাধিকার হরণ করে, জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ তা আগেও পারে নাই, এবারও পারবে না।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনূস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, সিকান্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ মো. পাপ্পা সিকদার, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আউয়াল আকন, মহিলা দলের আহ্বায়ক রূমা আক্তার, ছাত্রদল পূর্বের আহ্বায়ক খালিদ হাসান জ্যাকী, দক্ষিণের সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়সহ মহানগর বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।