অনলাইন ডেস্ক:
যশোরে ডাকাত হানা দিয়েছে মাইকে এমন ঘোষণার পর গ্রামবাসীর গণপিটুনীতে মাসুদ রানা (৪০) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো চারজন। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের গাইদগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, এদিন ভোর রাতে গ্রামের মাইকে কে বা কারা ঘোষণা দেয় গাইদগাছি গ্রামের জুলফিকার গাজীর শ্বশুর বাড়িতে একদল ডাকাত অবস্থান করছে। এই ঘোষণা শোনার পর গ্রামের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে সেখানে অবস্থান করা ৬-৭ জনকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। এতে মাসুদ রানা নামে একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। একই ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হয়। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বসুন্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
তবে পাশের ইউনিয়ন প্রেমবাগের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন, খবর শুনে বৃহস্পতিবার সকালে গাইদগাছি গ্রামে যাই। ওই গ্রামে জুলফিকারের খালা ও শাশুড়ি তাকে জানিয়েছেন, এলাকায় সমস্যার কারণে গৃহকর্তা কয়েকদিন বাড়ি ছিলেন না। ওই রাতে বাড়ি ফিরেছেন। ওই সময় তার সাথে আরো কয়েকজন ছিলো। ডাকাত পড়েছে এ ঘোষণার পর গ্রামের লোকজন বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের মারধর করে। কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারেননি প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, একদল যুবক গভীর রাতে গাইদগাছি গ্রামের একটি বাড়িতে বসে নেশাদ্রব্য সেবন করছিলো। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আরেক দল যুবক তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ৫ যুবক গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাসুদ রানা। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় আহত ৪ জনকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।