হোম আন্তর্জাতিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে বেছে নিল থাইল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার দল ফেউ থাই পার্টির স্রেথা থাভিসিন। নির্বাচনের প্রায় তিন মাস পর দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের যৌথ ভোটে আইনপ্রণেতাদের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন তিনি। স্রেথা মূলত একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। চলতি বছরে মে মাসের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে রাজনীতিতে আসেন তিনি।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে ফেরার পর গ্রেফতার হয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এরপরই তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার পার্লামেন্টে (২২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ও পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৫ ভোটের চৌকাঠ পেরোতে সক্ষম হয়েছেন স্রেথা।

গত ১৪ মে থাইল্যান্ডে পার্লামেন্ট নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) চমকপ্রদ ও আশাতীত ফল করে। থাই ভোটাররা প্রায় এক দশকের সেনা-সমর্থিত শাসন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যানই করেনি, নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্যান্য দলের তুলনায় একেবারেই নতুন একটা দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে (এমএফপি) বেছে নেয়।

নির্বাচনে ৫০০টি আসনের মধ্যে ১৫২টিতে জয় পায় মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। পুরনো গণতন্ত্রপন্থি দল ফেউ থাই পায় ১৪১টি আসন। এই দুই দলের কাছে ধরাশায়ী হয় সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।

সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া এমএফপি’র নেতা হিসেবে তরুণ পিটা লিমজারোয়েনরাত প্রধানমন্ত্রী হবেন এমনটাই আশা করা হচ্ছিল। নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে (২২ মে) সরকার গঠনের লক্ষ্যে এমএফপি ও ফেউ থাইসহ মোট ৮টি দল একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি পিটা লিমজারোয়েনরাত। নির্বাচনের প্রায় দুই মাস পর পার্লামেন্টের প্রথম দফার ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় ভোট পেতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর পার্লামেন্ট দ্বিতীয় দফায় তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করে। একই সঙ্গে দেশটির সাংবিধানিক আদালত পিটার সংসদ সদস্যপদও স্থগিত করে।

পিটার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অধুনালুপ্ত একটি গণমাধ্যম কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। অথচ থাই সংবিধান অনুসারে, আইনপ্রণেতাদের কোনো ধরনের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকানা থাকা নিষিদ্ধ। তবে পিটা জানান, তিনি এই মালিকানা পেয়েছিলেন তার বাবার কাছ থেকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন