হোম জাতীয় ভোরে মৃত্যু, পরিবারের সন্দেহে বিকেল পর্যন্ত ঝুলে ছিল মরদেহ

জাতীয় ডেস্ক:

রাজধানীর গোপীবাগের একটি বাসার ছাদ থেকে হাসান (৪০) নামে এক কেয়ারটেকারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহপোষণ করছেন স্বজনরা।

এজন্য রোববার (২০ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও পরিবারের অনুরোধে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে এরপর ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মরদেহটি নামায় পুলিশ। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

তার বাড়ি ময়মনসিংহের সদর উপজেলার বোররচর বার্তিপাড়া গ্রামে। হাসানের বাবার নাম মৃত নুর ইসলাম। এক ছেলে, এক মেয়েসহ তার স্ত্রী নুর নাহার গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ্ত শাহিন জানান, সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে গোপীবাগ ১ম লেনের ১১/৩ নম্বর বাড়ির ৬ষ্ঠ তলার ছাদে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই ব্যক্তিকে। ছাদে একটি টিনের চালার এঙ্গেলের সাথে রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ছিলেন তিনি।

ওই ব্যক্তি বাড়িটিতে ২০ থেকে ২২ বছর যাবত কেয়ারটেকারের দায়িত্বে ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার ফজরের নামাজের পর যেকোনো সময় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ জানায়, সকালেই বিষয়টি তার স্ত্রী ও পরিবারকে ফোনে জানালে তারা মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে না নামাতে অনুরোধ করেন। তারা গ্রাম থেকে এসে মরদেহ দেখবে, এরপর যেনো তা নামানো হয় সেই দাবি করেন। সেই অনুযায়ী বিকেল পর্যন্ত মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানো হয়নি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার স্ত্রীসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে পৌছালে এরপর মরদেহটি নামানো হয়।

এদিকে মৃতের ভাতিজা মো. রতন মিয়া জানান, শনিবার রাতেও স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। এরপর হঠাৎ কেনো এমন কাজ করবেন, তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানান। তার মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন স্বজনরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন