রাজনীতি ডেস্ক:
কারও কথায় বা পরামর্শে দেশে নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার (২০ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়িতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নবনির্মিত স্থায়ী কার্যালয় তুলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান-ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে নির্বাচনের সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। তাই নির্বাচনের বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই।’
বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানাতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সায়েমকে জাতি সব সময় ঘৃণা করবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধে যাই, তখন সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের সময় ভারতের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের উদ্দীপ্ত রেখেছিল ‘জয়বাংলা’ স্লোগান। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি চক্র এই স্লোগানকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানি স্লোগান ‘জিন্দাবাদ’ আমদানি করেছিল।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। হাজার বছরের ইতিহাসে আমাদের এই ভূখণ্ড কখনো সেভাবে স্বাধীন ছিল না। সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই এই ভূখণ্ড সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়। দেশভাগের পর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখনও ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
অগ্নিসন্ত্রাসের নিন্দা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাদেরতো অপরাধ ছিল না। আমি রাজনীতি করি আমাকে পুড়িয়ে মারুন, কিন্তু নিরীহ মানুষরা কী দোষ করেছে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আগস্ট মাসে ফের নতুন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।