হোম অর্থ ও বাণিজ্য ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার, দাম বেড়েছে আদা-রসুনেরও

বাণিজ্য ডেস্ক:

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে বেড়েছে আদা ও রসুনের দামও।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, কালীগঞ্জ ও আগানগর, রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ও রায়সাহেব বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এতে দিশেহারা ভোক্তারা।

ক্রেতারা জানান, আবারও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এ ছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। যার প্রভাবে খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের বিক্রেতা লোকমান বলেন, পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। এ ছাড়া পরিবহন ও শ্রমিক খরচ রয়েছে। এতে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে।

পাইকারি বাজারের দাম জানতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি পাঁচ কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। আর প্রতি পাঁচ কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।

তবে আড়তদারদের দাবি, অতিরিক্ত মুনাফা করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। পাইকারি পর্যায় থেকে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কোনোভাবেই কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি হওয়া উচিত নয়।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মেসার্স আহসান টেডার্সের মালিক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আড়ত পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৭ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে খুচরা পর্যায়ে সেটি যথাক্রমে কেজি ৯০ ও ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এত বেশি দাম হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটে মাঝখানে এলসি করা সম্ভব হচ্ছিল না। এতে দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে এখন দাম কমতে শুরু করেছে।

এদিকে দাম বেড়েছে আদা ও রসুনেরও। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি ঘাটতি হওয়ায় পাইকারি ও আড়ত পর্যায়ে দাম বেড়েছে আদা-রসুনের। যার প্রভাবে খুচরা পর্যায়েও বেড়েছে দাম।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মেসার্স মাতৃ ভান্ডারের মালিক মো. শহিদ বলেন, আড়ত পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৯০ থেকে ২১০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা। আর মানভেদে প্রতিকেজি আদার দাম পড়ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন জানিয়ে শহিদ বলেন, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ দিয়েও খুচরা পর্যায়ে এতো বেশি দাম কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন