হোম আন্তর্জাতিক দুই কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি অবস্থানে কোরীয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দুই কোরিয়ায় চলছে উত্তেজনার পারদ। মাত্র একমাসের ব্যবধানে আবারও কোরীয় উপদ্বীপে বড় সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। আর এ মহড়াকে হুমকি বিবেচনা করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।

একদিকে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, আরেকদিকে দক্ষিণ কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি এমন অবস্থান জটিল করে তুলছে পরিস্থিতি।

এর মধ্যেই কোরীয় উপদ্বীপে আবারও সামরিক মহড়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। বলা হচ্ছে, এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় এই মহড়ায় ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমানও।

‘উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান’ নামের গ্রীষ্মকালীন এ মহড়া ২১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ৩১ আগস্ট। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র চুক্তির পরই এমন ঘোষণা দিলো সিউল।

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র ইসাক এল টেইলর বলেন, ‘এবারের মহড়া খুবই কঠিন এবং বাস্তবধর্মী হবে। আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কীভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। সাম্প্রতিক যুদ্ধ এবং সংঘাত থেকে আমরা যে শিক্ষা নিয়েছি, সেগুলো নিয়েও এই মহড়ায় কাজ করব।’

ওয়াশিংটন-সিউলের এমন তৎপরতার মধ্যে বসে নেই পিয়ংইয়ংও। ‘অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি’ সুরক্ষিত করতে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।

সম্প্রতি কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম, সাঁজোয়া যান এবং আর্টিলারি শেল তৈরির মূল কারখানা পরিদর্শন করেন কিম। এর পরপরই এমন ঘোষণা দেয়া হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, সামরিক ইউনিটগুলোর চাহিদা মেটাতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করাকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন কিম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন