মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
মোংলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় কৃষকলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী শাহিনসহ তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এজাহারের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
অভিযোগের বিবরণ ও আহতদের পরিবার জানান, পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা শাহিন হাওলাদারের (৪৮) সাথে একই এলাকার হারুন অর রশিদ খলিফার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীক শত্রুতা /বিরোধ চলে আসছিল। পূর্বের সেই শত্রুতার জেরে হারুন অর রশিদ খলিফা (৫২), তার ভাই মামুন খলিফা (৪৫) ও ছেলে রনি খলিফা (২২) এবং হৃদয় খলিফা (২৫)সহ আরো ৪/৫জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামার ঘাটের বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী এবং উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শাহিন হাওলাদারের দোকানে অতর্কিত হামলা চালান।
এ সময় হামলাকারীরা দোকানে থাকা শাহিন হাওলাদার (৪৮), তার ছেলে সাদনান তাওহিদ বুলবুল (১৯) ও শ্যালক আজম হাওলাদারকে হাতুড়ি, রড ও লাঠি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। পরে আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হারুন অর রশিদ খলিফা গং তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিটসহ দোকানের দুইটি ক্যাশে থাকা নগদ ৮লাখ ৪০হাজার টাকা ও ২৫হাজার টাকা মূল্যের কয়েকটি মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে যান।
এ ঘটনার বিষয়ে হারুন অর রশিদ খলিফা বলেন, আমি কিংবা আমরা কেউই শাহিন হাওলাদারের উপর কোন হামলা করিনি, আর দোকানের টাকা—পয়সাও নিইনি। বরং শাহিনই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছেন বলে দাবী করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মামার ঘাটের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদারের ছেলে সাদনান তাওহিদ বুলবুল সোমবার বিকেলে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এ এজাহারের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।