হোম জাতীয় বিদেশি কূটনীতিকদের আনাগোনা বেড়েছে, শঙ্কায় বিশ্লেষকরা

জাতীয় ডেস্ক:

নির্বাচনের বছরে দেশে বেড়েছে বিদেশি কূটনীতিকদের আনাগোনা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদের নাক গলানোর কারণে বাড়ছে বিভাজন। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে রাজনীতিতে জটিলতা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা তাদের।

দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি কূটনীতির আলাপ চলছে নির্বাচনের এই বছরে। এরই মধ্যে চলতি বছরের সাড়ে ৭ মাসে দেশে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই ১০ জন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সফর করেছেন। যার মধ্যে প্রভাবশালী মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন ২ বার।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া এবং রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের মতো প্রভাবশালী কর্মকর্তারাও আছেন এই তালিকায়।

বাংলাদেশ তাদের আমন্ত্রণ না জানালেও নিজ আগ্রহেই তারা আসছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে দাওয়াত দিয়ে আনিনি। কূটনীতিকরা স্বেচ্ছায় আসছে। তবে আমরা তাদের স্বাগতম জানাবো।’

কেবল আগস্ট মাসেই ঢাকা সফর করবেন ৪ জন মার্কিন প্রতিনিধি। এরইমধ্যে ঘুরে গেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমনবিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ। ১২ থেকে ১৫ আগস্ট রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে দেশে অবস্থান করবেন দুই কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাককর্মিক। তার কিছুদিন পরই আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার থমাস জেমস।

এসব সফরের পেছনে যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে বিভাজন বেড়েছে বলেও মত তাদের।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, বিদেশিদের সফরের একটা বড় কারণ হচ্ছে, তারা মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। শুধু যে নির্বাচনকে নিয়ে তাদের এ সফর, এমনটা না। এখানে আমি মনে করি, তাদের সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে বড় আকারে স্বার্থ রক্ষা করা।

বার বার সফরে আসায় যদি বড় বড় দলের মধ্যে আস্থা বাড়ত, তবে মনে করতাম যে এ সফরের একটা বড় গণতান্ত্রিক কাঠামোর দৃষ্টান্ত তারা দেখাতে পারছেন। কিন্তু আপাতত মনে হচ্ছে, এতে বিভাজনটা বাড়ছে।

দেশের রাজনৈতিক সংকটে বিদেশি হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন