রাজনীতি ডেস্ক:
বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। বলেন, গুলি করে, টিয়ার শেল মেরে বিএনপিকে ঘরে আটকে রাখা যাবে না। এই সরকারের সময় শেষ। সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ঘরে ফিরে যাবে না।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ওই গণমিছিলে অংশ নিয়ে নেতারা জীবন দিয়ে হলেও রাজপথের আন্দোলনে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বলেন, ২০১৪ ও ১৮ এর মত নির্বাচন করে এবার আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগ চোখে অন্ধকার দেখবে। সামনে নতুন নতুন স্যাংশন আসতে চলেছে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন চাই। শেখ হাসিনা যতই লাফালাফি করুক না কেন, তাকে ক্ষমতা থেকে নামতেই হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন নমরুদ ও ফেরাউনের শাসন চলছে। একটাই দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, একটা মাত্র দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তা না হলে লাগাতার কর্মসূচি চলতে থাকবে। পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের পর হামলা করা হয়েছে। ক্ষমতায় টিকা থাকার জন্য এই পৈসাচিক কৌশল শেখ হাসিনার।
এই নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকারি আদেশ মেনে যে কাজ করছেন আপনারা, তা অন্যায় করছেন। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের অনেক সাথী গুম হয়েছে, তাদের কোনো হদিস নেই। এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যেতে হবে। মৃত্যু হয় হবে, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। দেশের জনগণের অধিকারে বাধা দিলে তাদের দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
নিজেদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথেই থাকার নির্দেশ দলটির নেতারা। তারা বলেন, জীবন দিয়ে হলেও রাজপথের আন্দোলনে সরকার পতন ঘটানো হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গণমিছিলে যোগ দিয়ে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান বলেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান অবৈধ সরকারকে উৎখাত করা হবে। সময় শেষ, সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। পুরো বিশ্ব বলছে, সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এসময় পুলিশকে সরকারের কথা না শোনারও আহ্বান জানান তিনি।