নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা বীজ প্রক্রিয়াজাত করন ও সংরক্ষন কেন্দ্র(বিএডিসি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত কৃষকদের বীজ সরবরাহ না করে অর্থের বিনিময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বীজ সরবরাহ করে সেই বীজ থেকে উৎপাদিত নিন্মমানের ধান আবারও বীজ হিসাবে সংগ্রহ করছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় , খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলাসহ সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলার ৯৫২ জন কৃষকের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে আউশ, আমন,ইরি ও বোরো মৌসুমে একর প্রতি ১০ কেজি ধান বীজ প্রদান করার কথা । সেই বীজ থেকে উৎপাদিত ধান আবারও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বীজ হিসাবে ধান সংগ্রহ করবে তবে পরিক্ষা করে মানসম্পন্ন ধান হলে তা চলতি বাজার দর হিসাবে মূল্য নির্ধারন করে কৃষকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন এলাকার ধান ব্যবসায়ীদের সাথে চুক্তি করে কোন জায়গা নির্ধারণ না করে ঐ সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ছেলে, ভাই,স্ত্রীকে কৃষক দেখিয়ে একেক জন ১০ কেজির বস্থা ১০/১৫ টি নিয়ে ৬০/৭০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছে বলে নিন্মমানের ধান এলাকা থেকে কম দামে ক্রয় করে শত শত বস্থা বীজ হিসাবে বীজ প্রক্রিয়াজাত করন ও সংরক্ষন কেন্দ্রে দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কোন পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়ায় গুদামজাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন কৃষক জানায়, বিএডিসির উপসহকারীরা এসে যারা ব্যবসায়ী ও এলাকার প্রভাবশালী নেতা তাদের সঙ্গে চুক্তি করে , পরবর্তীতে এলাকার কয়েক জন কৃষকের নাম দিয়ে বিএডিসি থেকে ১০/১২ বস্থা ধান বীজ সংগ্রহ করে, কিছু জমিতে ধান রোপন করে ধান কাটার পর একর প্রতি উৎপাদন হিসাব করে এলাকার কৃষকদের নিকট থেকে নিন্মমানের ধান কিনে শত শত বস্থা ধান বীজ হিসাবে গুদামে পাঠায়।
গুদামে বীজ দিতে আসা কামরুল টের্ড্রাস এর মালিক কামরুল ইসলাম জানান, আমি সদরের ভাদড়া এলাকার কৃষকদের নিকট থেকে ৬০ কেজির বস্থা ১৪ শত থেকে ১৫ শত টাকা করে কিনে বীজ হিসাবে গুদামে দিচ্ছি। গুদামে ধান নিয়ে আসা একজন টলি চালক জানায়, সদরের ইন্দ্রা এলাকার আঃ ছবুর ২০০ বস্থা ধান পাঠিয়েছে। এলাকার কয়েক জন কৃষকের বাড়ি থেকে ধান নিয়ে এসেছি গুদামে দিতে। কিন্তু টলির সাথে কোন কৃষক বা ধানের মালিকের দেখা যায়নি। এব্যপারে বিএডিসির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নাজিমউদ্দিন শেখ জানান, এ বছর চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের নিকট থেকে প্রায় ১৮৩৫ টন বীজ ধান সংগ্রহের টার্গেট। অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপ-সহকারীরা কৃষকদের সাথে কি করে সব বিষয়ে আমি তো জানিনা। তবে শত ভাগ সঠিক করা তো সম্ভাব নয়। একটু এদিক সেদিক হতেই পারে। কোন কৃষকের যদি অভিযোগ থাকে আমার কাছে পাঠাবেন আমি সমাধানের চেষ্টা করব । কোন নেগেটিভ নিউজ করার আগে আমাকে একটু জানাবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট