ভোলা প্রতিনিধি :
বিদেশ থেকে পাঠানো ৪০ হাজার টাকার লোভ এবং মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যেই হত্যা করা হয় ভোলার কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ সুমনকে। এমনকি হত্যার পর পরিস্থিতির সামলাতে না পেরে লাশ মাটি চাপা দেয় অভিযুক্তরা। গ্রেফতারের পর ঘটনার মূলহোতা মো. মিঠুর স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে এসব তথ্য। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
সন্তানের মৃত্যুতে নির্বাক মা। আদরের ছোট ভাইকে হারিয়ে দিশেহারা বোন। ভাইবোনদের মধ্যে একমাত্র লেখাপড়া জানা সুমনের স্বপ্ন ছিলো বড় কিছু করার। কিন্তু প্রতিবেশির টাকার লোভ কেড়ে নিলো সে স্বপ্ন।
স্বজনদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে সৌদি আরব থেকে বাবার পাঠানো ৪০ হাজার টাকা তোলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া গ্রামের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র সুমন। বিষয়টি জানতো প্রতিবেশি মিঠু। গত ২০ জুন বোরহানউদ্দিন বাজারে আড্ডা দিতে যায় সুমন। সেখান থেকে ফোন তাকে ডেকে নেয় মিঠু। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
নিহত সুমনের বোন বলেন, ‘হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’
পুলিশ জানায়, সুমনের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ২১ জুন প্রতিবেশি মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পানের বরজে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুমনের লাশ।
ভোলা বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে আসামি। এছাড়া আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এই ঘটনার পিছন আর কোনো ঘটনা লুকিয়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’
জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বোরহানগঞ্জ বাজারে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেন নিহত সমুনের মা। এখন পর্যন্ত ২ জন গ্রেফতার রয়েছে।