জাতীয় ডেস্ক:
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া, ৩ নম্বর সতর্কসংকেত এবং মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতার জোয়ারের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জোয়ারে নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু বলেন, ভোর থেকে উপজেলায় বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। দমকা হাওয়ার কারণে নদী পারাপারে ঝুঁকি থাকায় সকাল থেকে সাময়িক নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান বন্ধ রেখে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সকাল থেকে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে হাতিয়া-ঢাকা লঞ্চ, হাতিয়া-চট্টগ্রাম, হাতিয়া-ভোলা স্টিমার চলাচল ও হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে হাতিয়ার মেঘনা ও পার্শ্ববর্তী বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। চলছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত।
এদিকে হাতিয়ার দমারচর এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে নদীতে ভাসছে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।