আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির খ্যাতনামা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি (উপাচার্য) তারিক মনসুর।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে করে শনিবার (২৯ জুলাই) তাকে দলের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন বিজেপির প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বিশেষ মুসলিমদের আরও কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই তারিক মনসুরকে বিজেপির অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
তারিক মনসুর উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার অধিবাসী। রাজ্যের মোট ভোটারদের ১৯ শতাংশই মুসলিম। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশের ৩০টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ১৫টা থেকে ২০টা আসনের ফলাফল নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করে মুসলিমরা।
ভারতের সংখ্যালঘু গোষ্ঠী পসমান্দা (পিছিয়ে পড়া) মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তারিক মনসুর। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অন্যতম গুরুত্ব ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালের ১৭ মে তিনি এই পদে নিযুক্ত হন। ২০২২ সাল তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ নিয়ে পুরো ভারত উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই বিক্ষোভের আঁচ পড়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন তারিক মনসুর।
পাশাপাশি তিনি বিজেপি ও আরএসের সঙ্গেও কাজ করেছেন। সঙ্ঘের প্রতিনিধি হিসেবে পসমন্দা মুসলিমদের মুঘল যুবরাজ দারা সিকোর হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থান নীতিপাঠ দিয়েছিলেন। সেইসময় থেকেই গেরুয়া শিবিরের নজরে পড়েছিলেন তারিক মনসুর।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন মনসুর। এরপর থেকেই তিনি পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেছেন।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব পাওয়ার আগে তারিক মনসুর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত ছিলেন।
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ক্লিনিক্যাল রিসার্চ স্টাডি ও গবেষণার কাজ করেছেন। তার ১০৭টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ৫৮ জন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী তার তত্ত্বাবধানে গবেষণা করেছেন।
সার্জারি চিকিৎসক তারিক জেএন মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।