হোম এক্সক্লুসিভ বিরক্ত লিটন বললেন, বোর্ড সভাপতি বা কোচকে ডাকেন

স্পোর্টস ডেস্ক:

১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন তামিম ইকবাল। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নিজেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান টাইগারদের সদ্য সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। একদিন পেরিয়ে গেলেও তামিমের অবসরের সেই ঘটনা এখনও আলোচনার কেন্দ্রে।

তামিম জাতীয় দল থেকে সরে গেলেও শুক্রবার নিয়মিত অনুশীলনই করেছে বাংলাদেশ। শুধু দলের সঙ্গে ছিলেন না তিনিই। অনুশীলন শেষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন লিটন দাস। সেখানে তামিমের অবসর নিয়ে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাকে।

হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা তামিমের অবসর নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে এখনও। তাই তারকা এই ক্রিকেটারের অবসর নিয়ে সংবাদকর্মীদের আগ্রহও প্রচু্র। সে কারণেই ম্যাচের আগের দিন দলের পরিকল্পনা কিংবা প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন করার চেয়ে তামিমকে নিয়েই বেশি জানতে চেয়েছেন সংবাদকর্মীরা।

তবে তাতে বিরক্ত হয়েছেন লিটন। লিটনের স্পষ্ট কথা, আগামী ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসেছেন তিনি, অন্য কোনো বিষয় নিয়ে নয়। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে উঠে যেতেও চেয়েছিলেন তিনি।

লিটন বলেন, সংবাদ সম্মেলনটা কি আগামীকালের কিছু নিয়ে হচ্ছে? তা না হলে লিটন দাসের এখানে থাকার দরকার নেই। বোর্ড সভাপতি বা কোচকে এখানে ডাক দেন। তারা বলতে পারবেন। আমি আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসেছি এখানে।

তামিমের বিদায়ে দলের ওপর কোনো চাপ পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে লিটন বলেন, না! দেখেন উনি আগের ম্যাচে ছিলেন, এই ম্যাচে থাকবেন না… এটা যদি কোনোভাবে ইনজুরি হতো, আমরা কিন্তু বিকল্প দলই খেলতাম। আমার কাছে মনে হয় না, এরকম কোনো কিছু বদল আসবে। একইভাবে থাকবে সব কিছু।

দীর্ঘদিন একসঙ্গে ওপেনিং করেছেন লিটন-তামিম। স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি তামিমের। অবসরের ঘোষণা আসার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। তবে মাঠের বাইরের সেসব বিষয়কে এই মুহূর্তে পাত্তা দিচ্ছেন না ভারপ্রাপ্ত ওয়ানডে অধিনায়ক। তার ভাবনায় এখন শুধুই আফগানিস্তান সিরিজ।

এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, যেহেতু আগামীকালকে ম্যাচ, আমরা যদি এই বিষয়ে কথা না বলি ভালো হয়। আমরা এখনও একটা ম্যাচ পিছিয়ে আছি, আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, সিরিজটা কীভাবে জিততে পারি। এর চেয়েও বড় হলো, আগামীকালকে কীভাবে জিততে পারি। আমার মনে হয়, সতীর্থরা সবাই এই একটা জিনিসেই মনোযোগ দিচ্ছে। বড় ভাইও কিন্তু একটা জিনিস বলে গেছে, সব কিছুর আগে দল। উনি কিন্তু যেতে যেতে এই কথাটাই বলে গেছেন, আমরা দলের জন্য খেলি, দলই সবার আগে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন