জাতীয় ডেস্ক:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ায় সদস্য প্রার্থী ছানাউল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার ২৬ (জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নামার পথে অফিসের সামনে তার ওপর এ হামলা করা হয়। পরে ভুক্তভোগী ছানাউল এলাকার তুহিনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সদস্য প্রার্থী ছানাউল ইসলাম ক্ষেতলাল পৌর মহল্লার রসালপাড়া এলাকার মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ জুলাই উপজেলার বড়াইল ইউপি নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ছানাউল ইসলাম। অপর দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সদস্য আব্দুল মতিন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভুক্তভোগী ছানাউলকে ফোন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্ত তুহিন। সেই সময় হুমকির বিষয়টি তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিমকে অবগত করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (২৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন অফিসের সামনে তার ওপর অতর্কিত হামলা, মারপিটসহ নির্বাচন থেকে সরে না গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান অভিযুক্ত তুহিন।
এ বিষয়ে অভিযোগের বাদী ছানাউল ইসলাম বলেন, আসন্ন বড়াইল ইউপি নির্বাচনে আমি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী। এবার প্রার্থী হওয়ায় গত পাঁচ দিন আগে তুহিন আমাকে ফোন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন। সেইসঙ্গে আপোষে সরে গেলে ৫ লাখ টাকা ঘুষও দিতে চান। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাদিমকে জানাই।
এ কারণে আজ নির্বাচন অফিসের সামনে তুহিন আমাকে মারপিট করেন আর বলেন ‘নাদিম তোক বাঁচাবে? নির্বাচনে এক ভোট হলেও মতিনকে আমি জিতিয়ে দেব।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তুহিন স্থানীয় মোবাইল ফোনে বলেন, ভাই আমি মেম্বার প্রার্থীও নয়, চেয়ারম্যান প্রার্থীও নয়। আর ওই ইউনিয়নের আমি বাসিন্দাও না। ওর সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। তবে ও মুরগির ব্যবসা করেন, আমি ওর কাছ থেকে এক লাখ টাকা পাব। আর পাওনা টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, গত কয়েক দিন আগে সদস্য প্রার্থী ছানাউল ইসলাম আমাকে অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, তুহিন তাকে ফোন করে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও অর্থের বিনিময়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছে। আজ আবার অন্যায়ভাবে তাকে মারা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।