জাতীয় ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার প্রান্ত দাস (২০) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার (২৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার উপজেলার কলাকাচিয়া গ্রামের বকুল চন্দ্র দাসের ছেলে প্রান্ত দাস। পাশের এলাকার একটি সেলুনে কাজ করতেন তিনি।
হাসপাতালে প্রান্তর বাবা বকুল চন্দ্র দাস ও চাচা অনূকুল চন্দ্র দাস জানান, গত বুধবার (২১ জুন) রাতে তারা খবর পান, একই গ্রামের বাবুল চন্দ্র দাসের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে প্রান্তকে।
তখন ওই বাড়িতে গেলে বাবুল চন্দ্র দাস তাদের কাছে অভিযোগ করেন, চুরির উদ্দেশে তাদের বাসায় গেছে প্রান্ত। তাই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। পরে রাতেই গ্রাম্য বিচারকদের সাহায্যে প্রান্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
তারা জানান, বাবুলের মেয়ে শতাব্দির সঙ্গে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রান্তর। বিষয়টি এলাকার কমবেশি সবাই জানতেন। বুধবার রাতে শতাব্দি প্রান্তকে ফোন করে ডেকে তাদের বাড়িতে নেয়। তখনই তার বাবা বাবুল এবং বড় ভাই সাগর তাকে আটকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে।
ঘটনার পরের দিন প্রান্ত মারধরের কথা পরিবারকে জানায়। তখন তার পিঠের পুরো অংশে রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় দেখতে পান তারা। ওই দিন স্থানীয় হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর রোববার সকালে প্রান্তকে আবার আড়াইহাজার উপজেলায় একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রান্তর মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকেই শতাব্দির বড় ভাই সাগর চন্দ্র দাসকে আটক করে হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ। তবে এ ঘটনায় প্রান্তর পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজি নন। তারা গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে জানান। এজন্য পরে সাগরকে ছেড়ে দেয় ক্যাম্প পুলিশ।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মারধরের শিকার হয়ে প্রান্ত মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে তার পরিবার কোনো অভিযোগ করতে রাজি হয়নি। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।