হোম এক্সক্লুসিভ ঢাকায় মানববন্ধন: হত্যার বিচার না হওয়ায় বাড়ছে সাংবাদিক নির্যাতন

জাতীয় ডেস্ক:

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও নাদিমের সতীর্থরা। হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তারা বলেন, সাগর- রুনিসহ বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় সাংবাদিক নির্যাতন বাড়ছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার কথা জানান সাংবাদিক নেতারা।

সংবাদ প্রকাশের জেরে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যা করা হয়। প্রতিবাদে সারা দেশের মতো রাজধানীতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের আয়োজন করে নাদিমের সহপাঠী এসএসসি ১৯৯৬ ব্যাচ। অংশ নিয়ে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বন্ধুরা।

তারা বলেন, সত্যের পথে কলম ধরাই ছিল নাদিমের অপরাধ! এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

পিআইবি জার্নালিজম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও জীবন রক্ষা করতে না পারায় ক্ষোভ জানান বক্তারা।

একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। নেতারা বলেন, সাগর-রুনিসহ বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ায় বাড়ছে সাংবাদিক নির্যাতন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার আমরা পাচ্ছি না। সাগর-রুনি হত্যার ১১ বছর শেষ হয়ে গেলেও এর বিচার আমরা পাইনি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করি। তাহলে কেন এই বিচারগুলো আমরা পাচ্ছি না?

দ্রুততম সময়ে নাদিম হত্যার বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন জামালপুরের পুলিশ সুপারের দেয়া বক্তব্য ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি। হত্যাকারীদের পক্ষ নেয়া হয়েছিল। যদিও পরে বক্তব্য পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের পুলিশ কর্মকর্তা থাকলে নির্ভীক ও সৎ সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, গ্রেফতার ও মামলার চলমান প্রক্রিয়াই যে একমাত্র সমাধান না, সেটা প্রমাণ করে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। দীর্ঘমেয়াদি বিচারিক জালের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ১০/১১ বছর যদি বিচার না হয়, তাহলে তো বিক্ষোভের কোনো মূল্য নেই।

হত্যায় জড়িতদের বিচারে যেন রাজনৈতিক পরিচয় প্রভাব না ফেলে সেই দাবিও জানান সাংবাদিকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন