আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় রাজ্যের সৌরাষ্ট্র ও কুচ জেলার উপকূলে ‘ল্যান্ডফল’ তথা আছড়ে পড়তে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টা গুজরাটে ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে ‘বিপর্যয়’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ল্যান্ডফল বা আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। যা মধ্যরাত পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পুরো অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আরব সাগরে উৎপন্ন হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) নাগাদ ভারত ও পাকিস্তানে আঘাত হানতে পারে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দুটি দেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার জনকে। এর মধ্যে ভারতেই ৯৪ হাজার।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ৯৪ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি দল, রাজ্য সড়ক ও নির্মাণ বিভাগের ১১৫টি দল এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি উপকূলীয় জেলাগুলোতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার মালিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭৫টি ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৬২ হাজার লোককে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।