জাতীয় ডেস্ক:
রূপসা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা প্রাচীন শিল্পনগরী খুলনা। সোমবার (১২ জুন) দিনভর এই সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলেছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অনেকটা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ।
পুরো আট ঘণ্টার এই ভোটযুদ্ধে নগরবাসীও নির্ধারণ করেছেন আগামী দিনের নগরপিতাকে। একই সঙ্গে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরও। তবে ভোটের ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।
এদিকে ভোটের সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রাথীদের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। তারা নিজ নিজ প্রার্থীর সমর্থনে ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে স্লোগান দেন।
খুলনায় এবার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়েছে। এ পদ্ধতি নতুন হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে ভোট দিতে। বিশেষ করে বয়স্কদের বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছে, পাশাপাশি কোনো কোনো কক্ষে সাময়িক সময়ের জন্য মেশিন বন্ধও ছিল। যদিও মোটাদাগে অনেকটা ভালোভাবেই শেষ হয়েছে রূপসাপাড়ে গড়ে ওঠা এই শহরের নির্বাচন।
এই নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থীসহ ১৮০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া পুরুষরাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
তবে বরিশালের মতো খুলনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রার্থীসহ ভোটাররা আশা করছেন, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হওয়া ভোটের ফল সবাই মেনে নেবেন।
ভোট শেষে কেসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করতে আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। ফলে উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিয়েছেন। একটু পরে ভোট গণনা শুরু হবে, তারপর ফল ঘোষণা করা হবে।
ভোটাধিকার প্রয়োগের হার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, তবে শতভাগ নিশ্চিত না, কম-বেশি হতে পারে।
খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
এদিকে কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা এবং শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালন এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স। ঝুঁকিপূর্ণ ১৬১টি কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা।