যশোর অফিস:
দুই সপ্তাহ হলেও একটি আবেদনের কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড)। তাদের অবহেলা, গাফিলতি ও খামখেয়ালিপনার কারণে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ খুন জখমের মত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে এসব ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কনেজপুর গ্রামের একটি সরকারি রাস্তা দখল করে নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী জনি। শুধু তাই নয়, ওই সরকারি রাস্তার উপর গাছও লাগিয়েছে সে। এঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে হত্যাসহ খুন জখমের ভয় দেখিয়েছে ওই সন্ত্রাসী। এমনকি যারা বাঁধা দিতে আসবে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজত বাসের হুমকিও দিয়েছে ওই দুর্বৃত্ত। ফলে গ্রামের লোকজন গত ২৯ মে প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করে।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, কনেজপুর গ্রামে থেকে বৈদ্যনাথতলার যাতাযাতের জন্য একটি সরকারি রাস্তা রয়েছে। এই সড়কটি দিয়ে মানুষ দীর্ঘদিন চলাচল করে আসছে। শুধু তাই নয়, এই রাস্তা দিয়ে আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ যাতাযাত করে থাকে। রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে ৮/১০টি বসতি ঘর-বাড়িও রয়েছে। তারাও এই সড়ক দিয়ে যাতাযাত করে। কিন্তু ওই এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, চিহৃত রংবাজ, মাদক ব্যবসায়ী জনি রাস্তাটি দখল করে গাছ লাগিয়েছে। এতে করে মানুষের চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কয়েক গ্রাম ঘুরে মানুষের চলাচল করতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষ রাস্তার ওপর গাছ লাগাতে নিষেধ করায় তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। মানুষের কোন বাধা নিষেধ মানছে না। উল্টো খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। এতে করে আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে মারামারি বিবাধ সৃষ্টি হতে পারে। এসব ঘটার আগেই রাস্তাটি দখলমুক্ত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
ওই দিনই (২৯ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার দাস বিষয়টি গুরুত্ব অনুভব করে সহকারী কমিশনার ভূমিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু বিষয়টি দুই সপ্তাহ হতে চললেও সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদুল হাসান এই আবেদনটির কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থানীয় লোকজনসহ গণমাধ্যম কর্মীরা এ আবেদনের কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করলে তাদেরকে জানানো হয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের সাথে যোগাযোগ করুন। কমিশপুর ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া ভূমি অফিসে গেলে নায়েব সাফ জানিয়ে দেন এ ধরণের কোন চিঠি তিনি পাননি।
পাঁচবাড়িয়া ভূমি অফিসের নায়েব শাহাদত হোসেন বলেন, আমি কোন আবেদন (পত্র) পায়নি। গত এক সপ্তাহে কনেজপুর গ্রামের রাস্তা নিয়ে কোন চিঠি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসেনি। আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি চিঠিটি পাওয়ার সাথে সাথে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। আপনারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার দাস বলেন, আমি চিঠিটি সাথে সাথে পাঠিয়ে দিয়েছি। এমনকি সহকারী কমিশনারকে ফোন করে বলে দিয়েছি।