হোম জাতীয় ‘বিশ্ব বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও দেশে কমতে সময় লাগবে’

জাতীয় ডেস্ক:

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বৈশ্বিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও দেশে এখনই তার প্রভাব পড়ছে না। আমরা অনেক পণ্যের দাম দুই মাস আগে পেমেন্ট করেছি। এ ছাড়া ডলারের দাম এখনও কমেনি। ফলে দেশে নিত্যপণ্যের দাম কমতে সময় লাগবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

নিত্যপণ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদেশে কমলেও রাতারাতি দেশে প্রভাব পড়ে না। আমরা অনেক পণ্যের দাম দুই মাস আগে পেমেন্ট করেছি। সেগুলো এখনও হাতে পায়নি। এ ছাড়া ডলারের দাম এখনও কমেনি। ডলার দিয়েই আমাদের পণ্য আমদানি করতে হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলেছে, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।

বাড়তি মূল্যস্ফীতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এম এ মান্নান বলেন, আশা করেছিলাম মূল্যস্ফীতি কমবে। কিন্তু কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। এটা দুঃখজনক। বিশাল লোডশেডিং আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। দুই সপ্তাহে পরে লোডশেডিং কমবে, তবে মূল্যস্ফীতি কবে কমবে বলতে পারব না। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য আমরা নানান কৌশল নিচ্ছি।

নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটা সম্ভব নয় দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামানোর কথা বলা হয়েছে, যা সম্ভব নয়। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। মালামাল স্টক (পণ্য মজুত) করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিত্যপণ্যের দাম কমছে, আমরাও পারব। তবে ৬ শতাংশে নামতে পারব না, চেষ্টা করব কমানোর। বাজারকে মসৃণ করব।

ডলার ছাড়াও অন্য মুদ্রায় বাণিজ্য করব জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নানা মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করব। সরকার অন্যান্য পণ্য আমদানিতে যাবে। পেঁয়াজ আমদানি করছি, এখন দাম কমছে। দরকার হয় অন্য পণ্যও আমদানি করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন