আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনি শ্রীউলায় পুকুরের জমি নিয়ে মারপিটে স্বামী স্ত্রী সহ একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহারে ও সরেজমীন ঘুরে তথ্য অনসন্ধানে জানাগেছে।
কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের মোকছেদ তরফদারের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক গংদের সাথে একই গ্রামের মৃত কওছার সরদারের পুত্র নুর ইসলাম সরদার গং’রা এজমালী পুকুরের প্রাপ্য অংশ ছাড়া বেশী দাবী করিয়া জবর দখলের চেষ্টাসহ তাদেরকে নাজেহাল করতে বিভিন্নভাবে খুন জখম করার হুমকী ধামকী দেওয়াসহ হয়রানী ক্ষয়ক্ষতি করিয়া আসছিল।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সকালে বসত বাড়ী সংলগ্ন এজমালী পুকুরে রাজ্জাক মাছ ধরার সময় নুর ইসলামের পুত্র অত্যান্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির এলাকার ত্রাস মাস্তান ইমরান হোসেন (২২)’র নেতৃত্বে আবুল কাশেম সরদারের পুত্র সালাম সরদার (৫২) মৃত কওছার সরদারের পুত্র নুর ইসলাম সরদার (৫৭) সালাম সরদারের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (২৫), মৃত কওছার সরদারের পুত্র আবুল সরদার (৫০)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন দলবদ্ধ হইয়া দা, লোহার রড, শাবল. লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজ্জাক (৪৩) কে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করতে থাকে তার ডাক চিৎকার শুনে তার স্ত্রী শাহানারা খাতুন (৪০) ভাই কাজল হোসেন (৩২) কন্যা রিয়া সুলতানা (১৫) কে এলাপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে জখম করে।
স্ত্রী শাহানারা খাতুনের ৫০ হজার টাকা মুল্যের গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়াসহ কাপড় চোপড় ছিড়ে ছুটে শ্লীতলাহানী করে। কাজলের পকেটে থাকা মাছ বিক্রয় করা ৫হাজার ৭শত টাকা নিয়ে নেয়। জখমীদের মধ্যে শাহানারা খাতুন ও কাজলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজ্জাক ও রিয়া সুলতানাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসায় রয়েছে। এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে ২/৩জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ওসির সাথে হলে এ প্রতিবেদকে বলেন দু’পক্ষের লিখিত এজাহার পেয়েছি। এসআই মিঠুনকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে ঘটনার দোষী প্রমান হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আহত পরিবার ও এলাকাবাসী এ প্রতিবেদকে বলেন পুলিশ ঘটনার তদন্তে গেলে তাদের উপস্থিতিতে ইমরানের নেতৃত্বে রাজ্জাকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপরে চড়াও হলে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ।
এসআই মিঠুন পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রন করে তদন্ত সম্পন্ন করে। তাদের উপরি মহালে একজন ক্ষমতাসীন সরকারি চাকুরী ওয়ালা ব্যক্তি রয়েছে সে কারনে তারা এলাকার মানুষকে মানুষ মনে করে না।
ইতোপূর্বেও রাজ্জাকসহ তার পরিবারের লোকজনদেরকে মারপিট করেছে। দিনের পর দিন তাদেরকে ভিটাছাড়া করতে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন করাসহ কথায় কথায় মারপিট করে ও বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হয়রানী করে আসছে।
তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয় প্রতিপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকের কাছে কিছুই বলবেন না বলে জানা।