অনলােইন ডেস্ক :
সব ধরনের নির্বাচনে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার বা ফেসবুকে লাইভ করা যাবে না। কোনো নির্দেশনা পালন না করলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা সাংবাদিক নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত জারি করা সাংবাদিক নীতিমালা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনসহ যেকোনো উপনির্বাচনে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা চলাচলের জন্য যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিকসংখ্যক গাড়ির স্টিকার প্রদান করা হবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার প্রদান করা হলে স্টিকারের ক্রমিক নম্বর রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে।
সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োজনীয় এসব স্টিকার, সাংবাদিক পরিচয়পত্র, সাপোর্ট স্টাফ (মিডিয়া) পরিচয়পত্র ইত্যাদি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্যুকৃত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি কেন্দ্র প্রবেশ করতে পারবেন। প্রিসাইডিং অফিসারকে জানিয়ে ছবি তুলতে, তথ্য সংগ্রহ করতে ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই কেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। এমনকি গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি তোলা, ভিডিও করা যাবে না।
পাশাপাশি একই ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে দুটির বেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যারা প্রবেশ করবেন তারাও ভোটকেন্দ্রের ভেতর ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না। তাছাড়া কেন্দ্রের ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট ও ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সাংবাদিকরা প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশনা মেনে চলবেন। ভোটকেন্দ্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজ সাংবাদিকরা করতে পারবেন না। একইসঙ্গে কোনো ধরনের নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ করতে পারবেন না। তাছাড়া কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা থেকেও তাদেরকে বিরত থাকতে হবে।