অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
মৃতদের একজন স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল আলম। তার স্বজনদের দাবি, বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন তিনি। বিস্ফোরণের পর একটি লোহার খণ্ড উড়ে গিয়ে তার মাথায় পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে সীতাকুণ্ডের গোলাম রসুল এলাকায় এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, বিস্ফোরণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে।
গাউসিয়া কমিটির এক স্বেচ্ছাসেবক সময় সংবাদকে বলেন, ‘বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার এলাকায় ভূমিকম্পের মতো ঝাঁকুনি লাগে। আমরা সংগঠনের সিনিয়রদের থেকে তথ্য পেয়ে দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হই। এসে আমরা আগুন দেখতে পাই। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে কারখানায় প্রবেশ করে তিন জনকে জীবিত উদ্ধার ও তিনটি মরদেহ বের করি।’
সংগঠনটির আরেক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘বিস্ফোরণে স্থানীয় অনেক দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে লোহার টুকরো গিয়ে পড়ে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকে আহতও হয়েছেন।’
বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা বিএম ডিপোর দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, পুরো কারখানাটি বিস্ফোরণ ও আগুনে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অক্সিজেন সিলিন্ডার বোঝাই বড় বড় ট্রাক, কারখানার শেড এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ৩০ জনকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করি। বিস্ফোরণ সম্পর্কে এখনই তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’