খেলার সংলাপ :
হারলেই সিরিজ হাতছাড়া, জিতলে টিকে থাকবে আশা—এমন সমীকরণের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারল না বাংলাদেশ। উল্টো ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন জেসন রয়। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সঙ্গে আধিপত্য দেখালেন জস বাটলারও। দুই ইংলিশ তারকার ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশকে ৩২৭ রানের চ্যালেঞ্জ জানাল ইংল্যান্ড।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ব্যাটিং নিয়ে সাফল্য না আসায় আজ বোলিং দিয়েই সিরিজে ফেরার লক্ষ্যে নামে স্বাগতিকরা। তবে, বোলিং দিয়েও ইংল্যান্ডকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরুর আভাস দেয় ইংল্যান্ড। ওপেনিংয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ফিল সল্ট ও জেসন রয়। সপ্তম ওভারে এসে এই জুটি ভেঙে দেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্ট দিয়ে খেলতে যান সল্ট, তবে টাইমিং ঠিক হয়নি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। ১৫ বলে তিনি করেছেন ৭ রান, দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে এই একটি উইকেটই নিতে পারে বাংলাদেশ।
জেসন রয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে থিতু হওয়ার আভাস দেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ডেভিড মালান। তবে, এই যাত্রায় তাঁকে সফল হতে দেননি মিরাজ। ১৬তম ওভারে মালানকে এলবির ফাঁদে ফেলে মাঠ ছাড়া করেন মিরাজ। ৮৩ রানে ইংল্যান্ড হারায় দ্বিতীয় উইকেট, মালান করেন ১৯ বলে ১১ রান।
মালানের পর দ্রুতই আরেকটি ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। চারে নামা জেমস ভিন্সকে টিকতেই দেননি তাইজুল ইসলাম। তবে, তিন উইকেট হারালেও ততক্ষণে থিতু হয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান রয়। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৪ বলে তিনি তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ২২তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি পেতে রয় হাঁকান সাতটি বাউন্ডারি।
হাফসেঞ্চুরির পর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ১০৪ বলে শতকের দেখা পেয়ে যান ইংলিশ ওপেনার। নিজের ১২তম সেঞ্চুরি ১২টি চার ও এক ছক্কায় সাজান রয়। সেঞ্চুরির পর ছুটতে থাকা রয়ের ঝড় শেষ পর্যন্ত থামান সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের এলবির ফাঁদে পড়ে ১৩২ রানে থামেন ইংল্যান্ড ওপেনার।
রয়ের পর উইকেটে জমে যান জস বাটলার। বাকি সময় টেলএন্ডারদের নিয়ে ইংল্যান্ডকে টানেন বাটলার। তাতে নির্ধারিত ওভারে ইংল্যান্ড পায় শক্ত পুঁজি। অধিনায়ক বাটলার ৬৪ বলে উপহার দেন ৭৬ রানের ইনিংস। এ ছাড়া শেষ দিকে মঈন আলি করেন ৪২ রান। স্যাম কারানের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩২৬/৭ (জেসন ১৩২, সল্ট ৭, মালান ১১, ভিন্স ৫, বাটলার ৭৬, জ্যাকস ১, মঈন আলি ৪২, কারান ৩৩; রশিদ ৬ ; সাকিব ১০-০-৬৪-১, তাইজুল ১০-০-৫৮-১, মিরাজ ১০-০-৭৩- ২, তাসকিন ১০-০-৬৬-৩, মুস্তাফিজ ১০-০-৬৩-০)।