অনলাইন ডেস্ক :
চিনির দাম নিয়ে চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে চলছে কারসাজি। পাইকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা চিনি বিক্রি করছেন সরকার নির্ধারিত খুচরা দর ১০৭ টাকায়। এর ফলে খুচরা বাজারে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দামে।
মেসার্স জগদ্বাত্রী টেডার্স দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পাইকারি চিনি বিক্রেতা। প্রতিষ্ঠানটি ৫০ বস্তা চিনি কিনেছে ৫ হাজার ২৯২ টাকায়। প্রতি কেজির দাম পড়ে ১০৫ টাকা ৮৪ পয়সা। তাই পাইকারিতে এ ব্যবসায়ী চিনি বিক্রি করছেন ১০৭ টাকায়।
এমন চিত্র দেখা যায় খাতুনগঞ্জের প্রায় সব কটি দোকানে। অধিকাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী ১০৬ থেকে ১০৭ টাকায় চিনি বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে।
তবে চিনির পাইকারি দর নির্ধারিত না থাকায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। একই সঙ্গে ক্রয়মূল্যের রসিদ না থাকায় সেখানেও চলছে কারসাজি।
বিক্রেতারা বলছেন, খাতুনগঞ্জের সব দোকানে একই দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
অথচ পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার নির্ধারিত খোলা চিনি খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয় ১০৭ টাকা। সেখানে পাইকারি পর্যায়ে যদি ১০৭ টাকায় বিক্রি হয়, খুচরা পর্যায়ে সেই চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত। যদিও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলছেন, সরকার পাইকারি পর্যায়ে নির্ধারিত দাম না বলায়, এখানে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, সরকার নির্ধারিত ১০৭ টাকার নিচে চিনি বিক্রয় করায় এখানে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। ১০৭ টাকার নিচে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা পাইকারি দরে বিক্রি করলেও কোনো বিক্রেতাকে দোষারোপ করা যাবে না।
আর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, দোকানে মূল্যতালিকা না টানানোয় নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। এদের অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যসহ তালিকা ছাড়া দোকান চালু না করতে দোকানদারদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অভিযানে দোকানে মূল্যতালিকা না পাওয়ায় বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।