মোস্তফা কামাল,নড়াইল অফিস :
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে নড়াইলের ফুলদহ গ্রামে প্রতিপক্ষের ৩০টিরও অধিক বাড়িঘর স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৬ফেব্রæয়ারি) রাতে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভূক্তভোগীরা নিজেদের জানমালের নিরাপত্তাসহ বর্বরোচিত এ হামলার দৃষ্টান্ত মূল বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ৪জনকে আটকসহ আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রæয়ারি) সরেজমিন ফুলদহগ্রামের গিয়ে দেখাগেছে, গ্রামজুড়ে ধ্বংসের চিহ্ন। ঘরের টিনেরচালা, বেড়া, কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে জানালা-দরজা। বসতঘর, দোকান, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, কোন কিছুই বাদ যায়নি নারকীয় হামলা থেকে। অক্ষত নেই ঘরের কোন জিনিষপত্র। একদিন আগের সাজান গোছান বাড়িঘর, সংসার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। লুটে নেওয়া হয় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কালার টিভি, ফ্রিজ মোবাইল ফোন, স্যালো মেশিনসহ দামী জিনিসপত্র। ৩০টির অধিক বাড়িঘরে ভাংচুর লুটপাটের মাধ্যমে সর্বমোট ক্ষয়-্ক্ষতি পরিমান কোটি টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালিয়া উপজেলার ফুলদহ গামের ফসিয়ার মোল্যা পক্ষও সেলিম ফকির, জামিরুল ফকির পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। চলমান এ বিরোধের জেরে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুইপক্ষে কয়েক দফায় সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ফেব্রæয়ারি সোমবার ফসিয়ার মোল্যা পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ সেলিম ফকির পক্ষের লোকজনের বাড়ি ঘরে চড়াও হয়। বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রে সজিÍত হয়ে শতাধিক দুর্বৃত্তরা ঘন্টাব্যাপি হামলায় অংশ নেয়। এ সময় নারিপুরুষ নির্বিশেষে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেলেও তাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠিগত দ্ব›েদ্বর জেরে ফসিয়ার মোল্যা পক্ষিয়রা তাদের প্রতিপক্ষ সেলিম ফকির পক্ষের ১০/১৫টি বাড়ি ভাংচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৪জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। সম্প্রতিক সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় বিবাদমান দুইপক্ষে মোট ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।