অনলাইন ডেস্ক :
বৈদ্যুতিক মেট্রোর যাত্রায় বাংলাদেশ তার সফলতার জানান দিয়েছে সবেমাত্র। উড়ালপথে মেট্রোযাত্রার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এবার পাতালেও রেল ভ্রমণের সুযোগ চালুর পথে সরকার।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ছুটবে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। সংযুক্ত থাকবে পূর্বাচল রুটেও। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের-লাইন-১-এর আওতায় পাতাল রেললাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো নির্মাণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হবে।
২০২৬ সালেই এই পাতাল মেট্রোর সব কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিএমটিসিএল বলছে, এ পর্বে এমআরটি লাইন-১-এর আওতায় পাতাল ও উড়ালপথসহ ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হবে। এ পথে থাকবে দুটি রুট। একটি বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যার দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এ রুটে ১২টি পাতাল স্টেশন থাকবে। বিমানবন্দর-কমলাপুর রুটই হবে দেশের প্রথম পাতাল রেলপথ। এটিও উত্তরা-আগারগাঁও রুটে চলাচলকারী মেট্রোরেলের আদলে বিদ্যুতে চলবে। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে দূর থেকেই।
আর দ্বিতীয়টি হবে নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। যাকে পূর্বাচল রুট বলা হবে। দ্বিতীয় অংশের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। এর পুরোটাই উড়ালপথ। এ পথে স্টেশনের সংখ্যা নয়টি।
পাতাল-উড়াল মিলিয়ে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিনিট পরপর। এই ৩১ কিলোমিটার পথে চলবে ২৫টি ট্রেন। যার প্রতিটিতে একবারে তিন হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে।
পাতালপথে কমলাপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, হাতিরঝিল, রামপুরা, পূর্ব হাতিরঝিল, বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুনবাজার, নদ্দা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ ও বিমানবন্দরে স্টেশন থাকবে। প্ল্যাটফর্মে ওঠানামার জন্য উভয় পথের স্টেশনে থাকবে লিফট, সিঁড়ি ও এসকেলেটর।
তথ্যানুযায়ী, নতুনবাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে। নদ্দা, ও নতুনবাজার স্টেশন আন্তঃসংযোগ রুট ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচলে যাওয়া যাবে।