নড়াইল অিফিস :
নড়াইলে নাশকতা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে গোপন বৈঠকের সময় সদর থানার বিজয়পুর গ্রামের হাসমত ফকিরের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া জামায়াতের নেতা-কর্মীরা হলেন-নড়াইল পৌরসভা এলাকার বিজয়পুর গ্রামের হাসমত ফকির (৪২), মো: আব্দুল হান্নান (৫২), মো: ওমর ফারুক মোল্যা (৫৩), মো: আলি আজম মেখ (৪৮) ও মে: আরমান হুসাইন (৩৭), ভওয়াখালী গ্রামের মো: হেমায়েতুল হক ওরফে হিমু মল্লিক (৫৫), আলাদাতপুর গ্রামের মো: ফরহাদ হোসেন (৪২) ও মো: মশিউর রহমান (৪১), উজিরপুর গ্রামের মো: আব্দুল মান্নান (৫২), হাটবড়িয়া গ্রামের মো: জালাল উদ্দিন (৫৬) এবং বিজয়পুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মো: রহমত উল্লাহ (৩২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বর্তমান সরকারকে উৎখাত ও আটক জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীেেদর মুক্তির দাবিতে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা, বোমাবাজিসহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাংচুরের উদ্দেশ্যে নড়াইল পৌরসভার রুপগঞ্জ মুচিরপোল এলাকায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মিছিল ও শ্ল্গোান দেয়।
পুলিশের তৎপরতায় তারা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাশকতা সংশ্লিষ্ট কিছু আলামত সংগ্রহ করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। উক্ত ঘটনায় ঐদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ থেকে ১৩০ জনকে আসামি করে সদর থানায় নাশকতা মামলা রজু করে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পারি গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরের নাশকতা মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা-কর্মী গোপন বৈঠক করছেন।সোমবার দিনগত রাতে বিজয়পুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতাারকৃতদের ওই নাশকতা মামলায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।