খেলাধূলা ডেস্ক :
ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত ‘উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক’ কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের বর্ষসেরার স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। প্রতি বারের ন্যায় এই বছরও উইজডেন দিচ্ছে সেই স্বীকৃতি। যেখানে একাধিক ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন টাইগার তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ ও তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
সদ্য শেষ হতে যাওয়া বছরটায় সাদা বলের ক্রিকেটে তাসকিন ছিলেন দুর্দান্ত। দেশের মাটিতে ও বিদেশের মাটিতে এই পেসার সমানতালে করেছেন পারফর্ম। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে কখনোই জয় না পাওয়া বাংলাদেশ, এবার সেখান থেকেও জিতে এসেছে ওয়ানডে সিরিজ। সেটা অবশ্য সম্ভব হয়েছে তাসকিন আহমেদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের কল্যাণেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৮ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদ হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। যেখানে সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ওয়ানডে তাসকিন ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে একাই গুড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রোটিয়াদের। উইজডেনের চোখে তাই এটাই হয়ে থাকল, বর্ষসেরা ম্যান্স ওডিআই স্পেলের সেরা তিনটির একটি। তার সামনে কেবল ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ ও ইংল্যান্ডের রিস টপলি।
এদিকে উইজডেনের বর্ষসেরা ওডিআই একাদশে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে জায়গা পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বছরের শুরুতে ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খাদের কিনারা থেকে ব্যাট হাতে দলকে টেনে এনে দিয়েছিলেন দারুণ এক জয়। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও মিরাজ ছিলেন বল হাতে দুর্বার।
বল হাতে বছরজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো মিরাজ, বছরের শেষটাও করেছেন ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই। অনুমেয়ভাবেই মিরাজ জায়গা পেয়েছেন উইজডেনের বর্ষসেরা ওডিআই টিমে। এছাড়া এর আগে জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা একাদশেও ঠাঁই পান মিরাজ।
শুধু বর্ষসেরা ওডিআই একাদশেই নয়, সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতক হাঁকানোর লিস্টেও জায়গা পেয়েছেন মিরাজ। সদ্য সমাপ্ত ভারত সিরিজে, দ্বিতীয় ওয়ানডে দল যখন বিপাকে ঠিক তখনই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মিরাজ হাঁকান সেঞ্চুরির। যা উইজডেনের চোখে সাতে নেমে সেঞ্চুরি করার সেরা পাঁচটি ইনিংসের একটি হয়ে থাকল।