খেলাধূলা ডেস্ক :
কাতার বিশ্বকাপ শুধু মরক্কোর জন্যই নয় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে সমগ্র আফ্রিকার জন্য। এই বিশ্বকাপ বদলে দিয়েছে আফ্রিকান দলগুলোর আত্মবিশ্বাস। তাইতো পরবর্তী আসরগুলোতে, স্থান নির্ধারণের জন্য নয় বরং ট্রফি জয়ের জন্যই মাঠে নামবে আফ্রিকার দেশগুলো।
বলছেন, কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবলের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস মোটসেপে। তার মতে ফিফার উচিৎ এই অঞ্চলের দলগুলোর অনুদান বাড়ানো, পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নে আরো মনোযোগী হওয়া।
বিশ্ব আসরের ২২তম ফুটবল মহাযজ্ঞ পাল্টে দিয়েছে অনেক হিসেব নিকেষ। ছোটদলগুলোর কাছে হরহামেশাই ধরাশায়ী হয়েছে জায়ান্ট দলগুলো। তবে আফ্রিকান দলগুলো লিখেছে অনিন্দ্য সুন্দর উপাখ্যান।
ফুটবল ইতিহাসে লাতিন আর ইউরোপের বাইরে কখনই বিশ্বকাপ জিততে পারেনি কোন দল। এশিয়ার কোন দেশ একবারই খেলতে পেরেছিলো সেমিফাইনাল সেটাও ২০০২ সালে কোরিয়ার হাত ধরে। তবে এবার ভিন্ন আভাস দিয়েছিলো অ্যাটলাস জায়ান্ট মরক্কো।
প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে তারা খেলেছে সেমিতে। শুধু তাই নয় সেনেগাল, তিউনিসিয়া, ক্যামেরুন, ঘানার পারফর্মেন্সও কুড়িয়েছে প্রসংশা। যা নিয়ে দারুণ প্রত্যাশার বেলুন ফোলাচ্ছেন এ অঞ্চলের ৫৪টি দেশের মানুষ। আশাবাদীদের দলে কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবলের প্রেসিডেন্টও।
প্যাট্রিস মোটসেপে বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে আফ্রিকান দলগুলোর পারফম্যান্স আপনাকে মুগ্ধের সঙ্গে আশাবাদীও করবে। আমার মনে হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমাদের জেতার এখন সময় এসেছে। সে সামর্থ্যও আছে। আপনি লক্ষ্য করবেন ক্যামেরুন ব্রাজিলকে হারিয়ে দিয়েছে, তিউনিসিয়া ফ্রান্সকে। এগুলো আমাদের এগিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত। মরক্কো আমাদের গর্বিত করেছে, পুরো অঞ্চলের মানুষকে এক করেছে। এটা দারুণ মুহূর্ত।’
এতদিন আফ্রিকান অঞ্চল থেকে ৫টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতো। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। আরো একটি দল খেলবে প্লে অফে। তাইতো এ অঞ্চলের ফুটবল উন্নয়নে ফিফাকে আরো যত্নশীল হওয়ার অনুরোধ সিএএফ এর প্রধানের।
প্যাট্রিস মোটসেপে বলেন, ‘ফুটবলে আমাদের আরো সম্পৃক্ত করার জন্য ফিফাকে ধন্যবাদ। তবে আপনি এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশগুলোর আর্থিক সামর্থ্যের খবর জানেন। তাইতো আমি বিশ্বাস করি আর্থিক অনুদানের সঙ্গে অবকাঠামগত উন্নয়ন বাড়াতে পারলে, এ অঞ্চলের ফুটবলাররা বিশ্বকে আরো চমক উপহার দিতে পারবে।’
এদিকে, ২০৩০ বিশ্বকাপে স্বাগতিক হওয়ার দৌঁড়ে বিড করতে এরই মধ্যে আফ্রিকার একাধিক দেশ পরিকল্পনা করছে বলেও জানান প্যাট্রিস মোটসেপে।