নিজস্ব প্রতিনিধি :
কলারোয়ায় পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার হেলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়দানকারীরা এলাকর কয়েকটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরেও হামলা চালিয়ে মহিলাদের লাঞ্চিত করে।
দুপুরে সরেজমিনে গেলে হেলাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীসহ গ্রামবাসি জানায়, ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম করোনাকালে এলাকার দুস্থদের নাম তালিকাভূক্ত না করে নিজের স্বচ্ছল লোকদের নামের তালিকা করে। গত সোমবার সকালে এ নিয়ে কর্মহীন গরীব লোকজন হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেয়ে ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলামের সাথে কথাকাটাকাটি করে। ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গরীব ও অসহায় লোকজন ক্ষেপিয়ে তুলছে এমন সন্দেহে মঙ্গলবার বিকেলে হেলাতলা বাজারে যেয়ে ইউপি সদস্য আমিরুল ও তার পক্ষের লোকজন ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রোজাউল ইসলাম ও তার লোকজনদের মারপিট করে। এ নিয়ে ইউপি সদস্য বুধবার সকালে কলারোয়া থানায় আ.লীগ নেতা রেজাউল ইসলাম, মু্িক্তযোদ্ধার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
আ.লীগ নেতা রেজাউল ইসলামের স্ত্রী বিলকিছ বেগম জানান, মামলা হয়েছে এমন খবরে তার স্বামী অন্যাত্র আত্মগোপন করে। এ সুযোগে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে সাদা পোশাকে ৫ জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে আসামী ধরার নাম করে তার বাড়িতে যায়। এসময় তারা লঠি দিয়ে রান্নঘরসহ বতস ঘরের চাল ভাংচুর করে ঘরে প্রবেশ করে জমি কিক্রিসহ ওএমএসের ডিলারশীপের জন্য রাখা দেড় লাখ টাকা আলমারির ড্রয়ার ভেঙে লুট করে নেয়। বাঁধা দিতে গেলে তার বুকে হাত দিয়ে ঠেলা ধাক্কা মারে। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে শ্বাশুড়ি সাবজান বেগম, মা সুফিয়া খাতুন ও মেয়ে কেয়া খাতুনকে শ্লীতাহানি করে। পরে তারা গুলি করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। হামলা কারীদের মধ্যে এক জনকে দেখতে ফর্সা ও সুন্দর চেহারার। তিনি কলারোয়া থানার পুলিশ বলে মনে করেন। দেখা মাত্রই তাকে চিনতে পারবেন বলে দাবি করেন। এবিষয়ে কলারোয়া থানাও ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।