অনলাইন ডেস্ক
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে করোনার প্রাদুর্ভাবের মাঝেই সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের গার্মেন্ট খাতের মালিকরা। সরকার ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে প্রথম দিন রবিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪০টি কারখানা খোলা ছিল। সোমবার (২৭ এপ্রিল) নতুন করে ৬০টির মতো কারখানা খুলেছে। তবে প্রস্তুতি না থাকায় বাকি কারখানা খুলতে পারেননি মালিকরা। জানা গেছে, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৪৮০টি কারখানা রবিবার থেকে চালু হয়েছে। এসব এলাকায় বিকেএমইএ’র ১২১টি ও বিটিএমএ’র সদস্যভুক্ত ৫৮টি বস্ত্রকল খুলেছে।
বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, সোমবার খুলেছে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ কারখানা। যদিও সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে প্রথম থেকেই কিছু কারখানা কাজ চালিয়ে আসছিল। তবে সরকার ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ালেও ‘অর্থনীতি সচল’ রাখতে পোশাক মালিকরা আর অপেক্ষা করেননি। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যেসব কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছে, কেবল তারাই খুলছে। তারাই খুলবে।’ কোনও শ্রমিক যাতে অসুস্থ না হন, সে ব্যাপারে সব মালিক সতর্ক আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে, শ্রমিকদের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার স্বার্থে, আমরা কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, এই করোনা কবে যাবে, কেউ জানেন না। শোনা যাচ্ছে, আগামী শীতেও এর প্রকপ বাড়বে। ফলে অর্ডার ধরে রাখতে আমাদের কারখানা খোলার কোনও বিকল্প নেই।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে গার্মেন্ট কারখানার সব মালিক একমত হয়েছেন। ধাপে ধাপে তারা দেশের সব কারখানা চালু করবেন। যদিও চলতি সপ্তাহে একেবারেই সীমিত পরিসরে উৎপাদন চলবে। পরবর্তীতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কারখানাগুলো।
এদিকে পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত শ্রমিকের তথ্য দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন। পাশাপাশি চারটি জোন ভাগ করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিজিএমইএ থেকে বলা হয়েছে, চালু হওয়া কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা, তা দেখার জন্য তাদের একটি টিম মনিটর করছে। মনিটরিং টিমের সদস্যরা রবিবার চালু হওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে শতাধিক কারখানার ওপর তদারকি করেছেন, এসব কারখানায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।