জি এম মুজিবুর রহমান:
গ্রাম পুলিশ বিল্লাল ও ডিবি পরিচয়দানকারী শাহজানের চাঁদাবাজী, জমি দখল, লুটপাট, ক্রস ফায়ারে দেওয়ার হুমকী ও মিথ্যা মামলার প্রতিকার এবং বিল্লালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় নতুন ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগি আরিফুল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আশাশুনির বাটরা গ্রামের মৃত বাবর আলী সরদারের ছেলে জামায়াত কর্মী হাফেজ আরিফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করে জীবিকা নির্বাহ আসছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গ্রাম পুলিশ ও পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী বিল্লাল ও শালখালী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী শাহজাহান তার কাছে প্রায়ই চাঁদা দাবী করতো। চাঁদা না দেয়ায় তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর থেকে একের পর এক জিআর ৬০০/১৮ সহ ১৬ টি মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করে। তাকেসহ তার ৭ ভাইকেও আসামী করা হয়। এসব মামলায় পলাতক থাকার সুযোগে তারা ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে তাদের (আরিফুল) বাটরা মৌজার পৈত্রিক ৫ বিঘা জমি দখল করে নেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হলেও থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে রাজি হয়নি। এতকিছুর পরও ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা শহরে ভাড়াটিয়া বাসায় পলাতক বসবাস করাকালীন তাকে পুলিশ দিয়ে আটক করিয়ে বাসায় থাকা নগদ চার লক্ষ ৭৫ হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নেয়। কাউকে জানালে তার দুই ভাইকে ক্রস ফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া এলাকার বহু মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে ও কার্ড দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আরিফুলরা আদালতে ( দ্রুত বিচার আদালতে ৯১/২৪সহ) বিল্লাল ও শাহজানের নামে মামলা দায়ের করলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দাবী করে আরিফুল বলেন, দীর্ঘর১৫ বছরে বিল্লালদের মিথ্যা মামলায় আমরা নিঃশ্ব। তছনছ হয়ে গেছে আমাদের জীবন সংসার। অথচ এখনও তারা বহাল তবিয়তে আছে, আমাদেরকে হয়রানী করতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও মিথ্যা মামলা দায়েরের চক্রান্ত শুরু করেছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।