হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে ভূমি সেবায় দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত সহকারী কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান

মনিরামপুরে ভূমি সেবায় দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত সহকারী কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:

মনিরামপুর উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই জনসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনে আলোচনায় এসেছেন মো. মাসুদুর রহমান। তার দায়িত্বশীলতা, সততা এবং কর্মদক্ষতা ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে তিনি মনিরামপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন, দুই দফতরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ একসঙ্গে পরিচালনা করেও তিনি যে দক্ষতা দেখিয়েছেন তাতে স্থানীয় প্রশাসনে এসেছে গতি, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা। যোগদানের পরই তিনি ভূমি অফিসে দীর্ঘদিনের জটিলতা, দালালচক্রের প্রভাব এবং সেবা নিতে আসা মানুষের হয়রানি বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নেন। ভূমি সেবা, বিশেষ করে নামজারি, খারিজ, রেকর্ড সংশোধনসহ সব কার্যক্রমে সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করে নাগরিকের ভোগান্তি অনেকাংশে কমিয়ে এনেছেন। পূর্বে যেখানে নামজারি করতে দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভর করতে হতো, এখন সেখানে সরকারি অনলাইন আবেদন ও নির্ধারিত ফি জমা দিলেই সেবা মিলছে যথাসময়ে। অফিসের ভেতরে অপ্রয়োজনীয় দৌড়াদৌড়ি, অতিরিক্ত টাকা দাবি কিংবা ফাইল আটকে রাখার মতো অভিযোগগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি বুধবার তিনি ভূমি সংক্রান্ত মামলার সরাসরি শুনানি গ্রহণ করছেন। এতে সাধারণ মানুষ একদিকে তাদের অভিযোগ বা আবেদন সরাসরি সরকারি কর্মকর্তার সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। সঠিক কাগজপত্র থাকলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নামজারি মঞ্জুর করছেন এতে জনপ্রশাসনে তৈরি হচ্ছে নতুন আস্থা। নামজারি পেতে দালালের কাছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে বলা হলেও সরকারি ফি হিসেব করে মাত্র ১১ থেকে ১২’শ টাকা খরচে একজন যুবকের কাজ সম্পন্ন হওয়ার উদাহরণ এখন এলাকায় আলোচিত সাফল্যের গল্প। সেবা গ্রহীতারা বলছেন, ভূমি অফিসের ভেতরে এখন “হয়রানি ছাড়া সেবা” পাওয়া সম্ভব হয়েছে। ভূমি অফিসের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। বাজার মনিটরিং, ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশ দূষণ, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনাসহ আইনশৃঙ্খলা ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অপরাধে তিনি সরাসরি অভিযান পরিচালনা করছেন। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা, সতর্কীকরণ এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের শৃঙ্খলা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত এসব মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শহর ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য নিস্পত্তি, কর আদায়, পৌর অবকাঠামো উন্নয়ন, সেবা ডিজিটালাইজেশন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে তিনি সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করছেন। দুই দপ্তরের কাজ একসঙ্গে পরিচালনা করা নিঃসন্দেহে কঠিন দায়িত্ব; কিন্তু তার আন্তরিকতা, তদারকি এবং সঠিক পরিকল্পনার ফলে কোনোটাই অবহেলিত হয়নি বরং কার্যকারিতা বেড়েছে। নাগরিকদের ভাষায়, “অফিসে গেলে এখন যে পরিবেশ পাওয়া যায় অনেকদিন পর এমন স্বস্তি।” আর সূত্র বলছে, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেবার মান ও জনসম্পৃক্ততায় এসেছে দৃশ্যমান উন্নতি। দালালচক্রের দৌরাত্ম্য কমে গিয়ে সেবা এখন পৌঁছে যাচ্ছে সরাসরি জনগণের হাতে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন “সরকারি সেবার প্রতিটি ধাপই জনগণের অধিকার। মানুষের হয়রানি কমানো, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং আইন প্রয়োগে ন্যায়পরায়ণ থাকা এটাই আমার দায়িত্ব। মনিরামপুরের মানুষ যেন নিজের কাজ নিজেরাই করতে পারে এবং যেন কেউ তাদের অধিকার নিয়ে ব্যবসা করতে না পাওে আমি সবসময় সে চেষ্টা করছি।”

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন