হোম অন্যান্য পাঁচ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি শ্রমিকদের

পাঁচ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি শ্রমিকদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 46 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদানের ঘোষণা না দিলে দেশ অচলের ঘোষণা দিয়েছেন টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা। রবিবার (১৮ মে) বিকাল ৩টায় গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের ৮টি পোশাক কারখানার শ্রমিকের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা রয়েছেন।

শ্রমিক নেতা শহীদুল আরও বলেন, সরকার ও প্রশাসন তাদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ফিরবেন না। সমাবেশ শেষে কয়েক হাজার শ্রমিকের একটি বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল ও পল্টন মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থানে।

এর আগে গত ১০ মে শ্রম ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন শ্রমিক নেতারা। তখন তারা জানিয়েছিলেন, ৭ মে তাদের সব বকেয়া পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাই তারা আবারও রাজপথে নামবেন।

এরই আলোকে গত ১১ মে গাজীপুরে ও ১২ মে বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এতেও মালিকপক্ষের টনক নড়েনি। সরকারও কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান শ্রমিকরা।

তাই রবিবার (১৯ মে) বিকালে আবারও বিক্ষোভে নেমেছেন শ্রমিকরা। তারা বলেন, দুই মাস ধরে ঈদ বোনাস, সার্ভিস বেনেফিটস ও যাবতীয় বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গাজীপুর এবং ঢাকায় আমরা আন্দোলন করে আসছি।

গাজীপুরে রাস্তা অবরোধসহ ঈদের আগে রমজান মাসে টানা সাত দিন শ্রম ভবনে অবস্থান কর্মসূচি করি। সেই সময় তিন মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ যাবতীয় বকেয়ার দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরকারের উদ্যোগে গত ২৯ মার্চ ঈদের একদিন আগে মালিকপক্ষ আনুমানিক ১৭ কোটি পাওনার বিপরীতে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

কিন্তু মালিকপক্ষ সেই প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেনি। ৩ কোটির ওয়াদা করেও তারা ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দেয়। সেই টাকা পেতেও নানারকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।

২৯ মার্চের বৈঠকে শ্রম সচিব বলেছিলেন, মে দিবসের আগে সব শ্রমিক যেন বকেয়া পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম সচিবের বক্তব্যের প্রতি সম্মান রেখে ২৯ মার্চ আমরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করি। সেই ধারাবাহিকতায় যাবতীয় পাওনা পরিশোধের জন্য ৮ এপ্রিল শ্রম সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় (সরকারপক্ষ-মালিকপক্ষ-শ্রমিকপক্ষ) বৈঠকে অংশগ্রহণ করি এবং সিদ্ধান্তগুলো মেনে নিই।

ওই বৈঠকে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সেই পরিস্থিতিতে যাবতীয় বকেয়া পরিশোধ এবং মালিকের আস্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাবের জন্য অতিরিক্ত শ্রম সচিবের নেতৃত্বে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির ২২ এপ্রিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব পাওনা ৭ মে পরিশোধের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় মালিকপক্ষ। সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ তদারকি করা হবে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়। নির্ধারিত দিন অতিবাহিত হলেও পাওনা টাকা আমরা পাইনি। কমিটির পক্ষ থেকেও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সুনির্দিষ্টভাবে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন