স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যদি সরকারে থাকার খায়েশ জাগে তাহলে পদত্যাগ করুন। এরপর নির্বাচনে আসুন। সরকারের বাইরে গিয়ে নতুন দল করুন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সরকারে থেকে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচন দিন, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কোনোভাবেই আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না।
নিত্যপণ্যে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার স্থানীয় টাউনহল ময়দানে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যশোরের নওয়াপাড়ায় বন্ধ হওয়া কলকারখানা চালু ও ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিএনপিকে ভাঙার বহু চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি। বিএনপি জনগণের দল। এ কারণে গত ১৭ বছর জনগণকে সাথে নিয়ে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। তার চূড়ান্ত বিজয় ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান। বর্তমান সরকার সংস্কারের যে কথা বলছে বিগত ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া সেই একই কথা বলেছিলেন। এটি নতুন কোনো বিষয় না। তারপরও ভোটের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার ততটুকু করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আমরা আশাবাদী ইউনূস সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এটি দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ধর্ম বিষয়ক সহসাংগঠনিক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ,আলহাজ্ব এডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ফিরোজা বুলবুল কলি ও সাবিরা নাজমুল মুন্নি, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।