দেবহাটা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার দেবহাটায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক-বর্তমান সিনিয়র নেতাদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সহিদুল ইসলাম (৭৫) নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মৃত জিয়াদ আলী মোল্ল্যার ছেলে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারুলিয়ার মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বে তৌহিদী জনতা তার বাড়িতে জড়ো হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেসময় ফজলুল হক আমিনী ওই মুক্তিযোদ্ধাকে লাইভে নিয়ে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় বিক্ষুব্ধ জনতা আইন হাতে তুলে নিবে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন হুশিয়ারী করে জুমা বাদ আশপাশের মসজিদ থেকে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।
যদিও অভিযোগের সবটা লাইভে স্বীকার করেন নি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। তবে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য মানসিক অসুস্থতার কথা বলে লাইভ চলাকালে একাধিকবার ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি সহিদুল ইসলামের স্ত্রীকেও মুফতি ফজলুল হক আমিনীর কাছে হাতজোড় করে এবং পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে লাইভে।
ফজলুল হক আমিনীর লাইভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।
বিক্ষুব্ধরা জানান, বৃহস্পতিবার উপজেলার পারুলিয়া বাজারে সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াদ আলীর মৎস্য আড়তে বসে আলাপচারিতার একপর্যায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক-বর্তমান সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল ইসলাম। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হতেই শুক্রবার সকাল থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং শাস্তির দাবিতে তৌহিদী জনতা তার বাড়িতে জড়ো হতে শুরু করে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে অবরুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’