অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহণ আইন অমান্য করে ৯০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানোর কারণে বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এ টাকা তিনি পরিশোধও করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাঁকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেন। হিরো আলমকে বহনকারী গাড়িটি নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে চালানোর দায়ে এই জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘গাড়ি অতিরিক্ত গতিতে চালানোর দায়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় জরিমানা করা হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করেছি।’
হিরো আলম ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন। বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হয়ে দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেন তিনি।
উপনির্বাচনের আগের দিন ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন হবিগঞ্জের এক শিক্ষক। আজ হিরো আলম এই গাড়ি নিতে হবিগঞ্জে আসার পথে জরিমানার মুখে পড়েন। ওই শিক্ষকের নাম এম মখলিছুর রহমান। বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তিনি। হিরো আলম আসবেন বলে ওই শিক্ষকের বাড়িতে ভিড় করেছেন হাজারো মানুষ। পাশের ফুলবাড়ি গ্রামের তরুণ জোবায়ের বলেন, ‘এত দিন মুখে মুখে শুনে আসছি হিরো আলমের নাম। আজ তাঁকে সরাসরি দেখতে আসছি এ গ্রামে।’
উপনির্বাচনের এক দিন আগে ৩১ জানুয়ারি শিক্ষক এম মখলিছুর রহমান ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। তখন তিনি বলেন, ‘হিরো আলম একসময় জিরো ছিলেন। জিরো থেকে তিনি হিরো হয়েছেন। হিরো আলম এখন সোনার টুকরা। দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়ার মানুষ জানের চাইতে তাঁকে বেশি ভালোবাসেন। তিনি বগুড়ার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। নির্বাচনে ফল যেটাই আসুক না কেন, সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে গাড়িটি তাঁকে উপহার দিতে চাই।’
প্রথম দিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি হিরো আলম, যোগাযোগও করেননি। কয়েক দিন পর আবার লাইভ করেন এম মখলিছুর রহমান। এরপর যোগাযোগ করেন হিরো আলম। অবশেষে সেই গাড়ি নিতে তিনি আজ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে আসেন।