হোম অন্যান্যসারাদেশ ৭৫ বছরের বৃদ্ধা দাদীকে খুনের অভিযোগে পোতা ছেলে গ্রেফতার

৭৫ বছরের বৃদ্ধা দাদীকে খুনের অভিযোগে পোতা ছেলে গ্রেফতার

কর্তৃক
০ মন্তব্য 145 ভিউজ

মনিরামপুর( যশোর) প্রতিনিধি :

৭৫ বছরের বৃদ্ধা দাদীকে খুনের অভিযোগে পোতা ছেলে সজিবকে গ্রেফতার করেছে মনিরামপুর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে সজিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সকিনা বেগম মনিরামপুর উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নের নোয়ালী গ্রামের মোহাম্মদ আলী শেখের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে সাহিদুল ইসলাম জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সজিব হোসেনকে তার (সাহিদুলের মা) মা সকিনা বেগমকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তি ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামে ছোট মেয়ে রেশমা খাতুনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নোয়ালী গ্রামের পশ্চিম মাঠের ফাঁকা রাস্তার কাছে পৌঁছালে পিছন থেকে পোতাছেলে সজিব লাঠিদিয়ে দাদী সকিনা বেগমের মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করলে দাদী রক্তাক্ত যখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সুযোগে সজিব দাদীর গলা থেকে স্বর্নের চেইন এবং কানের দুল নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সজিব সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সকিনা বেগমকে উদ্ধারের পর প্রথমে যশোর শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকিনা বেগমকে ঢাকার একটি হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার শারিরীক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে গত বুধবার সকিনাকে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু ওই দিন বিকেলে হঠাৎ করেই সকিনার অবস্থার মারাত্বক অবনতি হলে বুধবার বিকেলে তাকে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে সকিনা বেগমের মৃত্যু হয়।

পুলিশ সজিব হোসেনকে শুক্রবার রাতেই আটক করেছে। মশ্বিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, সজিব হোসেন বয়সে কিশোর হলেও সে একজন মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সজিবের পিতা-মাতা বর্তমান ঢাকাতে একটি পোশাক তৈরী প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করে। লেখাপড়া ছেড়ে সজিব চারমাস আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে দাদার সংসারে বসবাস করে আসছিল।

পুলিশ জানায়, আটক সজিব শনিবার দুপুরে যশোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে আদালত সজিবকে যশোর শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মণিরামপুর থানার এসআই তপন নন্দী জানান, সজিব আদালতে স্বীকার করেছে একটি ভাল মোবাইল সেট কেনার জন্য সে দাদীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে স্বর্নালংকার নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এসময় লোকজন চলে আসলে স্বর্নালংকার নিতে পারেনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন