হোম খুলনাসাতক্ষীরা ৭০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিবের সংবাদ সম্মেলন

৭০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিবের সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 65 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা+কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো মানসিকতা আমার নেই। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বাকীটা জীবন আমি গণমানুষের সেবায় নিজেকে ব্যাপৃত রাখব।
বৃহস্পতিবার দুপরে সাতক্ষীরা শহরের হোটেল টাইগার প্লাসের কনফারেন্স রুমে উচ্চ আদালতের ৭০ বছরের সাঁজা থেকে খালাস প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদ্বন্ড ও অন্যান্য ৪৯ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল। অথচ কথিত ওই ঘটনার দিন আমি সাতক্ষীরায় ছিলাম না, ঢাকায় ছিলাম। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও এসেছে।
৭০ বছর দ্বন্ড থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপির এই নেতা এসময় তুলে ধরেন কারাগারে তিনিসহ অন্যান্য বিএনপি-নেতাকর্মীদের উপর চলা নির্যাতনের কথা। কষ্টের বর্ননা দিতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি আরো বলেন, বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে সাজা দেয়া হয়। সাজানো মামলায় দ্বন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারেই চার বিএনপি নেতাকর্মী বিনা চিকিৎসায় মারা যান। উচ্চ আদালতের এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। আজ আমরা মুক্ত। জনগণের পাশে থাকতে চাই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা পিআর বুঝি না, আগামী ফেব্রæয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন চাই। অন্যদলও চাই কিন্তু একটু পরিবেশ ঘোলা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক সদস্য সচিব শেখ তারিকুল হাসান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার, জেলা যুবদলের সাবেক সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি কামরুজ্জামান ভুট্রো, তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়, সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল কাদের বাচ্চু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। বিচারিক আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করা হয়। ৫০ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন সাতক্ষীরা আদালতে মৃত্যু বরণ করেন। গত ২২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দেয় উচ্চ আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন