হোম জাতীয় ৫ আগস্ট আটকা পড়েছিলেন পলক, উদ্ধার করে সেনাবাহিনী

৫ আগস্ট আটকা পড়েছিলেন পলক, উদ্ধার করে সেনাবাহিনী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 14 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বলেছেন, ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি জানান, ওইদিন তিনি জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থান করছিলেন। দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনী তাকেসহ ১২ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিতে আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় রংমিস্ত্রি আবদুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই হত্যা মামলায় জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের নাম রয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা জরুরি।

পুলিশের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক হাত তুলে কথা বলার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান।

আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর পলক বলেন, ‘বলা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট বাড্ডার খুনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত। একটা বিষয় আপনাকে (আদালত) জানিয়ে রাখি। গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ১১টার সময় আমি সংসদে অবস্থান করি। একটা পর্যায়ে আমরা সংসদে আক্রান্ত হয়। একপর্যায়ে আমি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ১২ জন সংসদের বিশেষ কক্ষে অবস্থান করতে বাধ্য হই। রাত আড়াইটার সময় সেনাবাহিনী আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’

পলক আদালতকে আরও বলেন, ‘যেখানে আমি সারা দিন সংসদে অবস্থান করেছিলাম, সেখানে ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো দায় নেই। ইতোমধ্যে আমার ৮৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম, ৫ আগস্ট সংসদে স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন লুকিয়ে ছিলেন। আজ জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক সেই ঘটনা বললেন। এখনো স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।’

ফারুক ফারুকী আরও বলেন, ‘আমরা বারবারই বলছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে যারা সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের যে শাস্তি, একই শাস্তি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যে কয়েকজন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এই জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।’

আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকে এই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন