অনলাইন ডেস্ক :
করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় দেশ এখন কার্যত ‘লকডাউনে’। সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ। বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বড়, মাঝারি, ছোট সব ধরনের শিল্প খাত বিপর্যস্ত। কৃষি খাতে উৎপাদন বন্ধ না হলেও ফসল সংগ্রহ ও বাজারজাত নিয়ে বেকায়দায় কৃষক। কুলি, মজুর, অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বিপুল পরিমাণ মানুষের আয়ের পথ বন্ধ।
সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অধিকাংশ মানুষ এখন অনিশ্চিত জীবনের পথে। এই অচলায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থমকে গেছে। প্রথমবারের মতো করোনার প্রভাবে বন্ধ সব বিপনী প্রতিষ্ঠান। ফলে ৫৬ লাখ ক্ষুদ্র ব্যসায়ীর প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে ১১০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ২৬ মার্চ থেকে ০৯ মে মোট ৪৫ দিনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
পাশাপাশি ফ্যাশন হাউজের বিক্রি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দেশের তাঁতশিল্প ও অ্যামব্রয়ডারি খাতের উদ্যোক্তা-কারিগররা। আর মোট অর্থনীতিতে শিল্প, সেবা ও কৃষি খাতে লকডাউনে দিনে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। কাঁচামালের অভাবে দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানার উৎপাদন সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রাণঘাতী করোনা প্রাদুর্ভাবের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে যতো দেরি হবে, আমাদের বাণিজ্য আগের অবস্থানে ফিরতেও ততো দেরি হবে। এরই মধ্যে দেশের অন্তত ১৪টি খাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে রমজান কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক আয়োজন নিষ্প্রভ। নেই চিরচেনা সেই উৎসবের পরিবেশ। অবরুদ্ধ পরিবেশ, আয়-উপার্জনের সীমাবদ্ধতা, বৈশ্বিক বাণিজ্য চেইন ভেঙে পড়া ও মনস্তাত্ত্বিক কারণে ব্যবসায়ীরা হতাশ। এদিকে রমজানে বিক্রির লক্ষ্যে পণ্য মজুদ করলেও লোকসানের শঙ্কায় আছেন দোকান মালিকরা। তারপরও রোজা বা ঈদের বাজার ধরতে সব দিক থেকে প্রস্তুত তারা।